নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল লিকুইড অক্সিজেন পেয়েছে। গত শনিবার (১৭ জুলাই) রাতে এই অক্সিজেন হাসপাতালে স্থাপনকৃত সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্টে মজুত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাশার। 

তিনি জানান, এখন থেকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের মাধ্যমে হাসপাতালের সকল রোগীকে হাইফ্লো অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব হবে। গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগীদের জন্য এই হাইফ্লো অক্সিজেন কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জে গত ১৬ জুন ১৪ জন, ১৭ জুন ১৭ জন ও ১৮ জুন মাত্র ১২ জনের করোনা আক্রান্ত হয়। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ১৬ জুলাই আক্রান্ত হয়েছে ২৪৭ জন, ১৭ জুলাই ২০৯ আর ১৮ জুলাই ১৯২ জন আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া গত তিনদিনে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় ইউনিসেফের অর্থায়নে চলতি বছরের ৯ মে হাসপাতাল চত্বরে অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপন করা হলেও তরল (লিকুইড) অক্সিজেন দিতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা। 

তাই অক্সিজেনের জন্য জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান গত দুই মাস স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় চেষ্টা করেন। অবশেষে তাদের চেষ্টা সফল হয়েছে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাশার বলেন, অক্সিজেন ট্যাংক ১২ হাজার লিটারের। কিন্তু প্রথম অবস্থায় ৪ হাজার ৯১২ লিটার দেওয়া হয়েছে। সব কিছুই প্রস্তুত রয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা রোববার (১৮ জুলাই) থেকেই প্রতিটি রোগীর শয্যার সঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ করতে শুরু করেছেন। প্রথম পর্যায়ের অক্সিজেন দিয়ে আগামী ৬-৮ দিন চলা যাবে বলে আমি আশাবাদী।
 
রাজু আহমেদ/আরএআর