দাফনের আটদিন পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলন

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় এক ব্যক্তির মরদেহ দাফনের আটদিন পর ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে। সোমবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

নিহতের বড় ভাইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার উপস্থিত থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উত্তোলন করেন।

নিহত রবিন মুর্মু (৪২) বিরামপুর পৌর শহরের শ্যামপুর এলাকার মৃত কবিরাজ মুর্মুর ছেলে। আটদিন আগে রবিন মুর্মুকে দাফন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান।

পুলিশ ও স্থানীয় জানায়, দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাইয়ের মাঝে পারিবারিক কলহ চলছিল। ২ জানুয়ারি সকালে নিজ বাড়িতে মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বড় ভাই রবিন মুর্মু।

এ সময় পারিবারিক বিষয় নিয়ে বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ছোট ভাই রুবেল মুর্মুর (৩২)। তখন বড় ভাই রবিন মুর্মুর গালে চড়-থাপ্পড় মারেন ছোট ভাই। এতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন বড় ভাই। পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুদিন পর মারা যান রবিন মুর্মু। সেদিনই তড়িঘড়ি করে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

৬ জানুয়ারি রবিন মুর্মুর মেজ ভাই বুদান মুর্মু (৩৭) ছোট ভাই রুবেল মুর্মুকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।মামলায় মাকে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজ বলেন, ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে বড় ভাইকে হত্যার অভিযোগে ৬ জানুয়ারি মামলা হয়। মামলার পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনে আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়। আদালত জেলা প্রশাসককে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। সোমবার দুপুরে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ তোলা হয়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আদালতের নির্দেশে ওই ব্যক্তির মরদেহ উত্তোলন করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বিরামপুর থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই ব্যক্তির মরদেহ উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে আবারও একই স্থানে তাকে দাফন করা হবে।

এএম