১৮ মণ ওজন ধরে তিনি দাম হাঁকছেন ৭ লাখ টাকা

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। নোয়াখালী জেলার সবচেয়ে বড় গরু 'যুবরাজ' এবার ঈদে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন খামারি ছালাউদ্দিন সেলিম। ১৭ জুলাই তিনি ঘোষণাও দেন যুবরাজকে কিনলে সঙ্গে আরেকটি ৪ মণ ওজনের এঁড়ে গরু ফ্রি দেবেন। কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনি বিক্রি করত পারেননি যুবরাজকে। এতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে জানান সেলিম।

জানা গেছে, ১৮ মণ ওজনের গরুটি লালনপালন করতে গিয়ে ঋণ নিয়েছেন তিনি। ঈদুল আজহা সামনে রেখে গরুটিকে ঘিরে স্বপ্ন বুনছে খামারি সেলিমের যৌথ পরিবার। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিক্রি না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে পুরো পরিবার।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকালে ঢাকা পোস্টকে এসব বলেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের বাসিন্দা ছালাউদ্দিন সেলিম।

সাদা-কালো রঙের মিশেলে দেখতে যুবরাজকে ১৮ মণ ওজন ধরে তিনি দাম হাঁকছেন ৭ লাখ টাকা। ঈদের এক দিন আগেও বিক্রি না হওয়া দুচোখে অন্ধকার দেখছেন খামারি সেলিম।

সেলিম বলেন, বিশ্বাস করেন ভাই, আমাদের ছয় ভাইয়ের যৌথ পরিবার। আমরা যুবরাজকে পরিবারের সদস্যের মতো লালনপালন করেছি। অনেক বড় গরু হওয়ায় তার পেছনে আমাদের খরচও বেশি হয়েছে। এবারের ঈদে গরুটি বিক্রি করতে না পারলে অনেক বড় ক্ষতির মুখে পড়ে যাব আমরা।

তিনি আরও বলেন, প্রায় তিন বছর ধরে গরুটি বড় করছি। আদর করে এর নাম দিয়েছি 'যুবরাজ'। নিজেদের খাবারের কথা চিন্তা না করে তার খাবারের জোগাড় করেছি। যদি এই ঈদে গরুটি বিক্রি করতে না পারি, তাহলে আমাদের পক্ষে সামনে জীবন চালানো কঠিন হবে।

ছালাউদ্দিন সেলিমের ছোট ভাই মিরাজ হোসেন বলেন, ১৮ মণ ওজনের যুবরাজের দাম গোশত হিসাব করে বিক্রি করলেও ৭ লাখ টাকা আসে। এমন একটা গরু পুরো নোয়াখালী জেলায় নেই। এই গরু যদি ঢাকায় বিক্রি করতাম, তাহলে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা দাম পেতাম।

স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশাল আকৃতির যুবরাজ এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় গরু। দেশীয় খাবার খাওয়ানো হয়েছে। যুবরাজ নাম রাখায় প্রতিদিনই মানুষ গরুটি দেখতে আসছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আলমগীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাণিসম্পদ মেলায় প্রদর্শনীতে যুবরাজ প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তাই খামারি ছালাউদ্দিন সেলিমকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এত বড় গরু পুরো নোয়াখালী জেলায় নেই।

হাসিব আল আমিন/এনএ