দৌলতদিয়ায় ঘরমুখো মানুষের ঢল
রাত পোহালেই ঈদ। পরিবারের সঙ্গে ঈদুল আজহার আনন্দ ভাগাভাগি করতে কর্মস্থল থেকে বাড়ির দিকে ছুটছে মানুষ। ঈদের আগের দিন মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল থেকেই রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের চাপ। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে ফেরি ও লঞ্চে করে যাত্রীরা দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নামছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদের একদিন আগে ঘরমুখো মানুষ ও ছোট গাড়ির চাপ বেড়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটে। সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতে ব্যক্তিগত ও ভাড়ায়চালিত ছোট গাড়ি, মোটরসাইকেল ও যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে অতিরিক্ত যাত্রীবহন করে দৌলতদিয়া ঘাটে ভিড়ছে লঞ্চগুলো। মানা হচ্ছে না কলোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি। অনেকের মুখে দেখা যায়নি মাস্ক। ঘাটে চাপ বাড়লেও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে চাপ দেখা নেই। মহাসড়কে নেই গাড়ির দীর্ঘ সারি।
ফেরি অথবা লঞ্চে এসব যাত্রীরা দৌলতদিয়া ঘাটে এসে বাসসহ অটোরিকশা ও কাভার্ডভ্যানে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছেন। তবে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা থেকে অধিকাংশ যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ যাত্রীদের।
বিজ্ঞাপন
আশুলিয়া থেকে আসা পোশাক শ্রমিক হাবিব শেখ বলেন, গতকাল গার্মেন্টস ছুটি দিয়েছে। তাই রাতেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হই। কিন্তু রাস্তায় অনেক যানজট থাকায় ফেরিঘাটে আসতে অনেক সময় লাগে। রাস্তায় যানবাহনগুলে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি প্রাইভেট কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার আক্তারুজ্জামান বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে যাচ্ছি। গত বছর লকডাউন থাকায় বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করতে পারিনি। তাই এবার যত কষ্টই হোক বাড়িতে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিসির) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) মো. শিহাব উদ্দীন বলেন, গতকাল ঘাটে চাপ কম থাকায় এই রুট থেকে একটি ফেরি অন্য রুটে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ চাপ বাড়ায় ওই ফেরিটি এই রুটে আবার যুক্ত হবে।
মীর সামসুজ্জামান/আরএআর