বুধবার (২১ জুলাই) দেশজুড়ে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে সরকার। পূর্বঘোষিত তারিখ অনুযায়ী শুক্রবার (২৩ জুলাই) থেকে ফের শুরু হচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ, যা চলবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত। তাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করায় ঈদের খুশি ও স্বজনদের রেখে কর্মস্থলে ফিরতে হাতিয়া ছাড়ছে ঘরমুখী মানুষ। 

বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) ভোর থেকেই হাতিয়ার নলচিরা ঘাট দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে ঢাকা-চট্টগ্রামমুখী মানুষ। পারাপারের ব্যস্ততায় প্রতিটি লঞ্চে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। ধারণক্ষমতার বাইরে যাত্রী নিয়ে ঘাট ছাড়ছে ও আসছে লঞ্চগুলো। এতে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।

কর্মস্থলমুখী মানুষের মাঝে ঈদের আনন্দের ছোঁয়া থাকলেও পাশাপাশি রয়েছে দ্রুততম সময়ে স্বজনদের রেখে আসার বেদনা।

প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে হাতিয়ায় গিয়েছিলেন মো. তুমিন নামের এক ব্যক্তি। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে আবার ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে। অনেক দিন পর গিয়ে দুই দিনেই ফিরে আসা কষ্টদায়ক। বাড়িতে যেতে না যেতেই ফেরার সময় হয়ে যায়। তাই ঈদের আনন্দ থাকলেও কিছুটা খারাপও লাগছে।
 
অন‍্যদিকে মো. আলী নামের এক ব্যক্তি ঢাকাতেই ঈদ করেছেন। তবে দুই সপ্তাহের বিধিনিষেধের সময় গ্রামের বাড়িতে কাটাবেন বলে বৃহস্পতিবার ভোরেই রওনা হয়েছেন হাতিয়ার উদ্দেশে। তবে তিনি আদৌ দুই সপ্তাহ পর ফিরতে পারবেন কি না, সেটি নিয়েও সংশয় রয়েছে তার মনে।

এ ব্যাপারে নলচিরা ঘাটের ইজারাদার ফাহিম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রামমুখী মানুষের চাপ সামলাতে হাতিয়া নলচিরা ঘাট নৌরুটে সি-ট্রাক, লঞ্চ ও স্পিডবোট চালু রাখা হয়েছে। ২৩ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হবে। তাই আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত হাতিয়া থেকে সব রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।

হাসিব আল আমিন/এনএ