ঈদ-পরবর্তী সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনে ঢাকামুখী ভোলার মানুষ কর্মস্থলে ফিরতে ইলিশা ফেরিঘাটে ভিড় জমিয়েছে। একপর্যায়ে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে যাত্রী বোঝাই করে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ফেরি। পাশাপাশি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে ট্রলার ও স্পিডবোটে করে ভোলা থেকে লক্ষ্মীপুরে যাচ্ছে যাত্রীরা।

সরেজমিনে বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল থেকেই ভোলার ইলিশা লঞ্চ ও ফেরিঘাটে এমনই চিত্র চোখে পড়ে। একরকম সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে কর্মস্থলে ফেরার জন্য ফেরিতে অধিক যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুর হয়ে ঢাকায় যাবেন, এমন এক যাত্রী শাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাবাজার থেকে কাল বিকেলে ঘাটে আসছি ঢাকা যাব বলে। রাস্তায় জ্যাম থাকায় লঞ্চ মিস করেছি। আজকের মধ্য ঢাকা না যেতে পারলে চাকরিটা হারাতে হবে। তাই এখন ফেড়িতে করে যাচ্ছি।

আরেক যাত্রী মাইনুল পরিবারসহ ভোলা থেকে চট্টগ্রাম যাবেন। তিনি বলেন, কাল যাত্রীদের অনেক চাপ ছিল, তাই বাচ্চাদের নিয়ে এই ঝুঁকির মধ্যে যাওয়া হয়নি। লঞ্চ থেকে ফেরিতে ঝুঁকি কিছুটা কম। তাই এদিক দিয়ে যাওয়া। সরকার আর দুইটা দিন পিছিয়ে লকডাউন ঘোষণা দিলে সবার জন্যই ভালো হতো। এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতো না।

এ বিষয়ে ইলিশা নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল বাদশার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হইনি। ঘাটে কর্তব্যরত নৌ-পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখছি।

ইলিশা ফেরিঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ঘাট ম্যানেজার মো. পারভেজ খান জানান, লকডাউনের সময় ফেরিতে যাত্রী ওঠা-নামার বিষয়টি প্রশাসনের দায়িত্ব। এটা প্রশাসন দেখবে। আমাদের দায়িত্ব না।

আর ভোলা জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফেরিঘাটের বিষয়টি বিআইডব্লিউটিসির দায়িত্ব। আমি বিআইডব্লিউটিএর দায়িত্বরত সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামানকে জানাচ্ছি।

এনএ