করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের জন্য শুরু হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। যা চলবে আগামী ৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। এই কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে শুক্রবার বেলা ১১টার পর বগুড়া শহরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবির ও পুলিশ সদস্যরা যৌথভাবে মহড়া দিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা ১১টার পর থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালান। অভিযানকালে শহরে রিকশা, মোটরসাইকেল ও গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়। যেসব মানুষ জরুরি সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত বা চিকিৎসাসেবা নিতে বের হয়েছেন শুধুমাত্র তাদের চেকপোস্ট অতিক্রম করার অনুমতি দেওয়া হয়। অপরদিকে যারা কোনো কারণ দর্শাতে পারেননি তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

যৌথ মহড়া ও অভিযান চলাকালে বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক বলেন, বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। জেলায় এবার কঠোর অবস্থানে থাকবে প্রশাসন। যারা কোনো কারণ ছাড়াই বের হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবারও জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা তাদের নিজ দায়িত্বে থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন।

এ সময় বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, আগের বিধিনিষেধ এবং এখনকার মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে অনেক কলকারখানা,  শিল্পকারখানা বন্ধ আছে। অফিস আদালত বন্ধ থাকবে। সুতরাং সবাইকে শতভাগ বিধিনিষেধ মেনে চলার অনুরোধ রইল। লকডাউন বাস্তবায়নে আমরা কাজ করবো।

অভিযানে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশীদ, মোতাহার হোসেন, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি আব্দুর রাজ্জাকসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন৷

সাখাওয়াত হোসেন জনি/আরএআর