ছয় ঘণ্টা ধরে পাঁচ ওঝা দিয়ে ঝাড়ফুঁকের পর আরেক ওঝা এসে ঘোষণা করলেন, ঘাস কাটতে গিয়ে সাপের কামড়ে মৃত সাজ্জাদ (১৮) জীবিত আছে। এমন ঘোষণায় ফের চিকিৎসার জন্য ওই তরুণকে নেওয়া হচ্ছে ঢাকায়।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাত ৮টার দিকে ওই যুবককে আবার বাড়ি থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে নিহতের প্রতিবেশী বাবু।

তিনি জানান, দুপুর আড়াইটা থেকে মুন্সিগঞ্জ শহরের পাশের পাঁচ ওঝা ২ ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সোনাকান্দা এলাকা থেকে আনা হয় ওঝা মানিককে। তিনি এসে বলেন, সাজ্জাদ এখনও বেঁচে আছে। ওর হাত-পা এখনও নরম। ঢাকায় নেওয়া হলে বেঁচে যাবে। এমন ঘোষণায় সাজ্জাদকে পুনরায় ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে চিকিৎসার জন্য।

এর আগে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের রামেরগাঁও গ্রামে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গেলে একটি বিষধর সাপ সাজ্জাদকে কামড় দেয়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থার মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ঢাকায় নেওয়ার পথে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় দুপুর ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এলাকাবাসী জানান, যেখানে সাজ্জাদকে সাপে কামড় দিয়েছে, সেখানে অনেক বিষধর সাপ রয়েছে। কিছুদিন আগেও ওই জায়গায় একটি গোখরা সাপ মারা হয়েছে।

নিহতের চাচাতো ভাই রসি জানান, সাজ্জাদ বাড়ির পাশে ঘাস কাটতে গেলে তাকে সাপ কামড়ে দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সাপের কোনো ভ্যাকসিন না থাকায় তিনটি ব্যথা নাশক ইনজেকশন দিয়ে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলে। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে সে মারা যায়। পরে তাকে ঢাকায় না নিয়ে বাড়িতে আনা হয়। বাড়িতে নিয়ে ঢাকা হয় ওঝাকে। মুন্সিগঞ্জ শহরের পাশের পাঁচ ওঝা এসে দীর্ঘ সময় ঝাড়ফুঁক দেন এবং তারা ব্যর্থ হয়ে চলে যান। কিন্তু পাশের নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনাকান্দা থেকে ওঝা মানিক এসে বলে সাজ্জাদ জীবিত আছে। তিনি তাকে ঢাকা নিতে বলায় এখন আবার ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।

ব.ম শামীম/এসএসএইচ