চলমান লকডাউনে সন্ধ্যার পর বাইরে বের হয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর অপরাধে এক যুবককে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে তিনি জরিমানার টাকা পরিশোধ না করে ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যান। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ তাকে আটক করে। এ সময় তিনি পুলিশের এক পরিদর্শককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গাড়িতে থাকা দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এমনই ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায়। 

জানা গেছে, শুক্রবার (২৩ জুলাই) ঈদ পরবর্তী কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দর সড়কের সিএসডি মোড়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন আতিফ আলতাফ হোসেন নামে এক যুবক। সরকারের বিধিনিষেধ অমান্য করে এভাবে বাইরে বের হওয়ায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তার গতিরোধ করেন।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রমিজ আলম তাকে ১০০০ টাকা জরিমানা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জরিমানা পরিশোধ না করেই গাড়ি নিয়ে চলে যান তিনি। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে আরেকটি গাড়ি নিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ ধাওয়া করে আতিফকে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের বিসিক শিল্পনগরীর কাছে আটক করে। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে কর্তব্যরত পুলিশ পরিদর্শক আতাউর রহমানের গায়ে হাত তোলেন আতিফ। পিটিয়ে তার পোশাক ছিঁড়ে ফেলেন।

আতাউর রহমান বর্তমানে সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ঘটনায় রাতেই সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আতিফ হোসেন (২৮) ও আতিক হোসেনকে (২৪) আসামি করা হয়েছে। তারা সৈয়দপুর শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেনের ছেলে। তারা বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত অমান্য করা, দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকতার গায়ে হাত তোলা ও লকডাউনে বিধিনিষেধ অমান্য করার মতো একাধিক অপরাধ করার কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রমিজ আলম মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেন। 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রমিজ আলম জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অর্থদণ্ডের আদেশ বহাল রয়েছে।

মাহমুদ আল হাসান রাফিন/এসপি