২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। বন্ধ রয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানা, গার্মেন্টসসহ সকল প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি ছাড়াই কাজ করছেন শত শত চা শ্রমিক। এ অবস্থায় চা বাগানে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

মৌলভীবাজারে রয়েছে ৯২টি চা বাগান। চা বাগানগুলোতে পুরোদমে কাজ চলছে। চা শ্রমিকদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই। মাঝে-মধ্যে দুএকজনের মুখে মাস্ক পরতে দেখা গেলেও অধিকাংশ শ্রমিক মাস্ক ছাড়াই কাজকর্ম করছেন। 

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী বলেন, চা বাগানে আমাদের শ্রমিকরা অনেক ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন। চা শ্রমিকদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করানোর কথা বললেও কর্তৃপক্ষ কোনো তোয়াক্কা করছেন না। ফলে কার করোনা আছে আর কার নেই সেটি বোঝা যাচ্ছে না। 

তিনি আরও বলেন, অন্যান্য সেক্টরে প্রণোদনা দেওয়া হলেও চা শ্রমিকদের কোনো ধরনের প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে না। এতে খুব কষ্টে দিনযাপন করতে হচ্ছে শ্রমিকদের।

শমশেরনগর বাগানের চা শ্রমিক সন্তান মোহন রবিদাস বলেন, আমাদের চা বাগানের কিছু কর্মচারীরও করোনায় আক্রান্তের খবর শুনতে পাচ্ছি। এ অবস্থার মধ্যে মাস্ক ব্যবহার না করা ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলার কারণে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে দেশের চা শ্রমিকরা। যেখানে চা পাতা তোলা হয় সেখানে স্যানিটাইজার, সাবান থাকে না। এমনকি বিশুদ্ধ পানিরও সঙ্কট থাকে। 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ চা সংসদের সিলেট ব্রাঞ্চ চেয়ারম্যান জিএম শিবলি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক চা শিল্পে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজকর্ম পরিচালিত হচ্ছে। চা বাগান বন্ধ থাকলে কচিপাতি বিনষ্ট হবে এবং বড় ধএনর লোকসান গুনতে হবে। ধান শিল্পের মতো চা শিল্পও চালু রয়েছে। বাগানগুলোতে করোনা আক্রান্ত কেউ নেই বললেই চলে। যারা আক্রান্ত হন তারা বাইরে থেকে আসেন। 

ওমর ফারুক নাঈম/এসপি