সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) আয়তন বাড়ানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৬ জুলাই) প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী। 

তিনি বলেন, নিকার বৈঠকে সিলেট সিটি করপোরেশন বর্ধিতকরণের প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। এখন সিসিকের অন্তর্ভুক্ত এলাকাসমূহকে ওয়ার্ডে বিন্যাস করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য কাজ শেষে গেজেট প্রকাশ করা হবে। এরপরই মূলত এটি কার্যকর হবে।

এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘সিলেট শহরটা গড়ে ওঠে অনেক আগে। ১৮৭৪ সালে সিলেট পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হলে এ শহরের আয়তন ছিল ২৬.৫ বর্গকিলোমিটার। সে সময় আয়তন যা ছিল সেটা আর বাড়েনি, আগেরটাই আছে। আমি এটা নিয়ে অনেক দিন ধরে দেনদরবার করছি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ তিনি আমাদের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন। আমাদের চাওয়া ছিল ৮২ বর্গকিলোমিটার হবে। শেষ পর্যন্ত কাটাকুটি করে ৩৩ বর্গ কিলোমিটার বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।’

এটি সিলেটবাসীর জন্য অর্জন উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশে এটা সবচেয়ে ছোট সিটি করপোরেশন। ছোট শহর হওয়ায় এর বাজেট হয় খুব সীমিত। সবচেয়ে কম বাজেট পায়। জনগণ সেবাও কম পায়। এখন আয়তন বাড়ায় বাড়তি কিছু বাজেট পাওয়া যাবে। এতে নাগরিকরা আরও সুযোগ সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।’

এর আগে ২০২০ সালের ১০ আগস্ট সিলেট সদর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কয়েকটি এলাকা সিসিকের আওতাভুক্ত করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গণবিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম। গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত এলাকাগুলো যুক্ত হলে সিলেট সিটি করপোরেশনের আয়তন বেড়ে দাঁড়াবে ৫৮ বর্গ কিলোমিটার।

২০০২ সালে সিলেট পৌরসভাকে সিলেট সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা হয়। প্রাথমিকভাবে ২৬ দশমিক ৫ বর্গ কিলোমিটার জায়গা নিয়ে যাত্রা শুরু করে সিলেট সিটি করপোরেশন। ২০১৪ সালে সিসিকের আয়তন বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ওই বছরের ২২ জুলাই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর আবেদন করেন তিনি। একই বছরের আগস্টে সিনিয়র সহকারী সচিব সরোজ কুমার নাথ সীমানা পরিবর্তন, সম্প্রসারণ এবং সংকোচন বিধি অনুযায়ী তথ্যাদি উল্লেখসহ পুনরায় প্রস্তাব প্রেরণের অনুরোধ করেন।

২০১৫ সালের ২৩ জুন নগরের বর্তমান আকারের প্রায় ছয়গুণ আয়তন বৃদ্ধির একটি প্রস্তাব জমা দেওয়া হয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে।

এনআই/তুহিন আহমদ/আরএআর