টাকার অভাবে স্ত্রীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে পারিনি। করোনার মধ্যে আয় রোজগার কমে গেছে। তাছাড়া ডাক্তারের কাছে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধপত্র কেনার টাকা নেই আমার। এসব কারণে ডাক্তারের কাছে যাইনি। 

বিষয়টি জানার পর অবশেষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে স্ত্রীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান ও ওষুধপত্র কিনে দিয়েছেন। চিকিৎসাও করাবেন বলে জানিয়েছেন তারা। ঢাকা পোস্টকে এসব কথা জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের পার মাছখোলা এলাকার দিনমজুর আমিনুর রহমান।

ঈদের আগে থেকেই অসুস্থ মাজেদা বেগম। তবে অর্থাভাবে চিকিৎসক পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি তিনি। অবশেষে ঘটনাটি স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী নাহিদা হাসানের দৃষ্টিতে আসার পর সাতক্ষীরা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমানকে অবহিত করা হয়। এরপর মাজেদা বেগমের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এ ছাত্রলীগ নেতা। 

দিনমজুর আমিনুর রহমান বলেন, আমার একটি মোটরভ্যান ছিল। তবে সেটি এখন নেই। দিনমজুরের কাজ করি। এখন করোনার কারণে ঠিকমতো কাজও হয় না। ঘর-বাড়ির অবস্থাও জরাজীর্ণ। এরই মধ্যে চিকিৎসার পেছনে ব্যয় কারার মতো টাকা আমার নেই। ছাত্রলীগের নেতা আশিকভাই সহযোগিতা করেছেন। প্রয়োজন হলো আরও করবেন। আমি খুশি হয়েছি। 

ছাত্রলীগ কর্মী নাহিদ হাসান জানান, ঘটনাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমানকে জানানোর পর তার পরামর্শে মাজেদা বেগমকে মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর চিকিৎসক আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, গুরুতর কোনো সমস্যা নয়। পুষ্টিকর খাবারের অভাবে এমনটি হয়েছে। তিনি পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন। যার কারণে পেটে ব্যথা ও শরীরিক দুর্বলতায় ভুগছেন।
 
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক জানান, একজন মানুষ অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে পড়ে রয়েছেন, চিকিৎসা করাতে পারছেন না এটা জানার পর অসহায় ওই নারীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওষুধপত্র কিনে দেওয়া, ফলমূল দেওয়াসহ সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। তার সার্বিক চিকিৎসার ব্যবস্থা আমি করব বলে জানিয়ে দিয়েছি। 

আকরামুল ইসলাম/এমএএস