আহতদের কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় পোশাকশ্রমিকদের বহনকারী একটি মাইক্রোবাস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে ইভা (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ভোররাতে উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের খাড়েরা গ্রামের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ইভা নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে। 

আহতদের মধ্যে পারুল (২৮), রিনা (২৭), তাহমিনা (৩২), ইয়াছমিন (২৮), তরিকুল (২৮), সিরাজ (৩২), রাজেশ (৩৪) ও শারমিনকে (২৬) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আর নিহত ইভার বাবা ইব্রাহিম (৩২) ও বাকি আহতদের কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

আহতরা সবাই পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তাদের বাড়ি নেত্রকোণা জেলার বিভিন্ন উপজেলায়।

কসবা থানা পুলিশ ও আহত ব্যক্তিরা জানা, বুধবার (২৮ জুলাই) রাত ৮টার দিকে নেত্রকোনা থেকে ১৩ জন আরোহী নিয়ে একটি মাইক্রোবাস চট্টগ্রামে যাচ্ছিল। আরোহীরা সবাই চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। পথিমধ্যে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ভোররাতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে মাইক্রোবাসটি মহাসড়ক লাগোয়া একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দেন।

এতে মাইক্রোবাসের সব আরোহী আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে শিশু ইভাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া ঢাকা পোস্টকে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে মাইক্রোবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত শিশুটির মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

আজিজুল সঞ্চয়/এনএ