ফুটপাত দখলমুক্ত করতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের অভিযান

কুমিল্লা নগরীর চিরচেনা ফুটপাতের চেহারা বদলে গেছে। থেমে গেছে হকারদের দৌরাত্ম্য। চলাচলের পথে নেই ভাসমান দোকানপাট। উদ্ধার হয়েছে ফুটপাত। 

ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত হওয়ার কারণে সুন্দর পরিবেশ ফিরেছে রাস্তাঘাটে। স্বাচ্ছন্দ্যে হেঁটে যাতায়াতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না কেউ। এমন অবস্থা ফিরেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের প্রচেষ্টায়। ফুটপাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পেরে বেশ খুশি নগরবাসী। নগরবাসী প্রত্যাশা, তাদের দীর্ঘদিনের আশার ফল পেতে যাচ্ছেন। 

কুমিল্লার ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত হওয়ার কারণে সুন্দর পরিবেশ ফিরেছে

কুমিল্লা চকবাজারের একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা সোহেল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, চেষ্টা থাকলে কি-না সম্ভব? যেটা আমাদের জেলা প্রশাসন দেখাচ্ছে। জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রত্যেক দিন অভিযান চালাচ্ছেন। ফুটপাত দখলমুক্ত করে এ রকম একটা শহর বা নগরী আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ। এখন নির্বিঘ্নে রাজগঞ্জ থেকে চকবাজারে পায়ে হেঁটে যেতে পারছি। আমাদের দীর্ঘদিনের আশার ফল পেতে যাচ্ছি।

কুমিল্লরে কাটাবিলের বাসিন্দা তানজিনা রুমকি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখন চলাচল করতে আমাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আমি কাটাবিল থেকে কান্দিরপাড়ে কোনো ঝামেলা ছাড়াই পায়ে হেঁটে যেতে পারছি। ধন্যবাদ জানাই জেলা প্রশাসানকে; এ রকম একটা উদ্যোগ নেওয়ার জন্য।

স্থানীয় সাংবাদিক সেলিম সজীব ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাধুবাদ জানাই জেলা প্রশাসনকে; এ রকম অভিযান পরিচালনার জন্য। বিশেষ করে কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট নিরলস কাজ করছেন কুমিল্লাকে সুন্দর রাখতে। কুমিল্লার টাউনহল এখন আর আগের মতো নেই। সেখানে দোকানপাট উচ্ছেদ করে একটি সুন্দর ফুলবাগান করা হয়েছে। দেখতে ভালো লাগছে। শুধু উচ্ছেদ অভিযান করলে হবে না; কুমিল্লাকে যানযটমুক্ত রাখতে হবে।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত নভেম্বর মাসে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মতে ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আবুল ফজল মীরের নির্দেশে আমাদের এই অভিযান চলছে। কুমিল্লাকে একটি সুন্দর শহর করতে জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ। সাধারণ জনগণের চলাচলে যেন বাধা সৃষ্টি না হয়; সেজন্য আমরা কাজ করছি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

এএম