ফাইল ছবি

জয়পুরহাটে গত বছরের ১৮ জুলাই করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর পর এখন পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট ৫০ জনের মধ্যে ২২ জনেরই মৃত্যু হয়েছে চলতি বছরের জুলাই মাসে। অর্থাৎ জুলাই মাসে মৃত্যুর হার ৪৪ শতাংশ। তবে মৃত্যুর হারের তুলনায় জুলাই মাসে শনাক্তের হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি অবস্থান করছে।

জয়পুরহাট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনা সংক্রান্ত জুলাই মাসের দৈনিক প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, জুলাই মাসের ৩১ দিনে জেলায় ৬ হাজার ৬৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৭৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। অর্থাৎ ১০ শতাংশের কাছাকাছি। প্রতিদিন গড়ে শনাক্ত হয়েছে ২৫ জন। এই ৩১ দিনে জেলায় করোনায় মারা গেছেন ২২ জন। যা মোট মৃত্যুর ৪৪ শতাংশ। এর আগের জুন মাসে মৃত্যুর হার ছিল ৫৭ শতাংশ। জুলাইয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন সদর উপজেলায় ১৪ জন।

করোনায় মোট মারা যাওয়া ৫০ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৬ জন, পাঁচবিবিতে ৯ জন, ক্ষেতলালে ৫ জন, কালাইয়ে ৬ জন ও আক্কেলপুর উপজেলায় ৪ জন। সর্বশেষ ৩০ জুলাই একজনকে নিয়ে জেলায় করোনায় এ পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২২ জনেরই মৃত্যু হয়েছে জুলাই মাসে। 

শুক্রবার (৩০ জুলাই) ছুটির দিন থাকায় করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। করোনায় এ পর্যন্ত জেলায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ হাজার ৫৭৭টি। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ১৭০ জনের। শুধুমাত্র জুন ও জুলাই মাসে ২ হাজার ৪৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৫৬১টি। দুই মাসে গড় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ।

জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন ডা. ওয়াজেদ আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বছরের জুন মাসের মৃত্যুর হারের তুলনায় জুলাই মাসে ১৩ শতাংশ কমে এসেছে। আগের তুলনায় শনাক্তের হারও কম। আমরা আশা করছি মৃত্যুর হার আরও কমে আসবে। আমাদের সকলকে আরও সচেতন হয়ে চলাফেরা করতে হবে। যেহেতু এই মাসে শনাক্তের হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি তাই এই শনাক্তের  হার আমাদের ধরে রাখতে হবে।

এদিকে গত ২৩ জুলাই থেকে সারাদেশে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনের ৯ দিনে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জয়পুরহাট জেলায় ২৮৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ মামলায় ২৮৮ জনকে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ২৩ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের দৈনিক প্রতিবেদনে এসব তথ্যে জানা গেছে।

চম্পক কুমার/আরএআর