ভোগান্তি কমেছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে
শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি রোববার (১ আগস্ট) ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন ও লঞ্চ চালু হওয়ার কারণে ভোগান্তি কমেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিতে পারছে এখন। তবে ফেরিঘাট পর্যন্ত আসতে তাদের বিভিন্ন যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
রোববার (১ আগস্ট) সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরিঘাট থেকে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের যাত্রীবাহী বাসের কোনো সিরিয়াল নেই। তবে শনিবার রাতে বিপুলসংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক পার করার কারণে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ২ শতাধিক যানবাহন।
বিজ্ঞাপন
ফেরিঘাটে আসা যাত্রী মো. শরিফুল হক বলেন, বিধিনিষেধ নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তগুলো ভুল ছিল। যে কারণে পথে পথে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত যে দূরপাল্লার বাস চলাচলের কথা, সেটি আরেকটি ভুল সিদ্ধান্ত। একটি দূরপাল্লার বাস রাস্তায় নামাতে বেশ সময় লাগে। সে কারণে অনেক পরিবহন রাস্তায় নামেনি। যাত্রীদের ভরসা শুধুই নছিমন, করিমন, ট্রাক, মাহেন্দ্র, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক। তবে এখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব নয়।
কুষ্টিয়া থেকে আসা যাত্রী মো. আবুল মিয়া বলেন, করোনাকালে ফেরিঘাট এলাকায় ভোগান্তি বেড়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে একমাত্র মোটরবাইক ছিল তুলনামূলক সস্তা যানবাহন। কুষ্টিয়া থেকে গোয়ালন্দ মোড় যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় প্রশাসনের লোকজন গাড়ি আটকায়। বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে। মোটরসাইকেল চালকেরা গাড়ি এখন আর ফেরিঘাটে যেতে চায় না।
বিজ্ঞাপন
ফেরিঘাটে আসা কোহিনুর পরিবহনের চালক ইব্রাহিম বলেন, এক দিনের সিদ্ধান্তে মহাসড়কে বাস নামানো কঠির ব্যাপার। অনেক মালিক দ্রুত সিদ্ধান্তে মহাসড়কে বাস চালাবে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ম্যানেজার মো. জামাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। এখন যাত্রীর চাপ কমে এসেছে।
মীর সামসুজ্জামান/এনএ