মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের বিভাগীয় উপপরিচালক ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরীর সহায়তায় বৃত্তির টাকা পেলেন রাজশাহীর তানোরের স্কুলছাত্রী সানজিদা সুলতানা জয়া। সোমবার (০২ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথের দফতরে ওই ছাত্রীর হাতে বৃত্তির টাকা তুলে দেন সোনালী ব্যাংক মুণ্ডুমালা হাট শাখার ব্যবস্থাপক মিঠন কুমার দেব।

এ সময় মাউশির উপপরিচালক ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান, ওই ছাত্রীর মা জেবুননেসা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে জানান,  ব্যাংক ব্যবস্থাপকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে ওই ছাত্রী বৃত্তির টাকা নিতে অপারগতা জানিয়েছিল। তাছাড়া তার বৃত্তির টাকা নিয়ে ব্যাংকের ঝামেলার খবর তারা আগেই পেয়েছিলেন। পরে মাউশির উপপরিচালক ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী এবং তিনি সেখানে যান। বোঝানোর পর ওই ছাত্রী বৃত্তির টাকা নিতে সম্মত হয়।

সানজিদা সুলতানা জয়া তানোরের মুণ্ডুমালা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাড়ি মুণ্ডুমালা পৌর এলাকায়। তার বাবার নাম শহিদুল ইসলাম। পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে জয়া।

সোনালী ব্যাংকের মুণ্ডুমালা শাখায় তার ব্যাংক হিসাবে বৃত্তির ৫ হাজার ৯০০ টাকা জমা পড়েছিল। বাবাকে সঙ্গে নিয়ে গত ২৯ জুলাই সেই টাকা তুলতে ব্যাংকে গিয়েছিল জয়া। কিন্তু তার চাচা আতাউর রহমানের ঋণের কিস্তি বকেয়া থাকায় তার বৃত্তির চেক আটকে দেন ব্যাংক ব্যবস্থাপক।

এরপর শনিবার (৩১ জুলাই) মোবাইলে এ নিয়ে ইউএনওর কাছে অভিযোগ দেন ওই ছাত্রীর বাবা। তাৎক্ষণিক ইউএনও ব্যাংক ব্যবস্থাপকের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেন। শেষে সোমবার ওই ছাত্রীকে বৃত্তির টাকা দিতে রাজি হন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক।

সোনালী ব্যাংক মুণ্ডুমালা হাট শাখার ব্যবস্থাপক মিঠন কুমার দেব জানান, ওই ছাত্রীর চাচা আতাউর রহমানের ঋণ অনেক পুরোনো। সেটির জামিনদার ছিলেন তার বাবা শহিদুল ইসলাম। ঋণ আদায় করার জন্য শহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে ওই ছাত্রীর বৃত্তির চেকটি ব্যাংকেই ছিল।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর