ঝালকাঠির ১১টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কর্তৃক পরিচালিত ফ্রি অক্সিজেন সেবাকে উদ্বুদ্ধ করতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বরিশাল জেলার সদস্যসচিব ডা. মণীষা চক্রবর্তী ঝালকাঠির এক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও এর ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা দেন।

বুধবার বিকেল ৫টায় জেলা শহরের পৌর মিনি পার্ক-সংলগ্ন একটি কক্ষে ঝালকাঠি মিডিয়া ফোরাম  সমাজকল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে অক্সিজেন জোন ঝালকাঠি।

এ সময় মো. মনির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল সাহা, ঝালকাঠি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ, বাসদ বরিশাল জেলা আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হাবিব রুমন ও সদস্যসচিব ডা. মণীষা চক্রবর্তীসহ ১১টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

সংগঠনগুলো হলো, ঝালকাঠি সদর থেকে অসীমাঞ্জলী ফাউন্ডেশন, মিডিয়া ফোরাম, ইয়ুথ অ্যাকশন সোসাইটি, রক্তকণিকা ফাউন্ডেশন, একতা ক্লাব ও পাঠাগার, শ্রী গুরু সংঘ (শহর শাখা), সংযোগ কানেক্টিং পিপল, দেশবাংলা ফাউন্ডেশন, মিডিয়া ফোরাম (নবগ্রাম শাখা), ঝালকাঠি সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় ব্যাচ-২০১৮ এবং নলছিটি উপজেলা থেকে বেগম শামসুন্নাহার ফাউন্ডেশন।

পৌর কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ বলেন, অনেকের টাকা আছে কিন্তু ভালো মন নেই। তারা স্বেচ্ছাসেবীদের সাহায্য করেন না। অথচ তাদের একটু সাহায্যে স্বেচ্ছাসেবীরা ভালো কাজ করতে পারেন।

বাসদ বরিশাল জেলা আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হাবিব রুমন স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্দেশে বলেন, এই মানবিক কাজগুলো যার যার জীবনে একেকটি গল্প বা উপন্যাস হয়ে থাকবে। প্রত্যেককে অক্সিজেন সেবা দিতে যাওয়া রোগীর গল্পগুলো লিখে রাখতে পরামর্শ দেন।

ডা. মণীষা চক্রবর্তী প্রশিক্ষক ও আলোচক হিসেবে অক্সিজেন কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে কতটুকু দিতে হবে, তা সিলিন্ডারের ব্যবহারসহ বুঝিয়ে দেন। এ ছাড়া সবাইকে একত্রে কাজ করতে দেখে ধন্যবাদ দেওয়ার পাশাপাশি বরিশাল বিভাগে একে অপরের সহযোগী হিসেবে সেবা চালিয়ে যাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, বরিশাল জেলার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের কাছে ডা. মণীষা চক্রবর্তী একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি। তিনি নিয়মিত সাধারণ মানুষকে ফ্রি চিকিৎসাসেবা দেন। 

তিনি ও তার সংগঠন গত বছরের মাঝামাঝি থেকে এ পর্যন্ত হ্যান্ডওয়াশ ও ব্লিচিং লিকুইড তৈরি করে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বিতরণ, খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি হিসেবে 'একমুঠো চাল' কার্যক্রমের আওতায় বাড়ির নারীদের কাছ থেকে এক মুষ্টি করে চাল সংগ্রহ করে অসহায়দের সাহায্য, মধ্যবিত্তদের সাহায্যের জন্য 'মানবতা বাজার' কর্মসূচির মাধ্যমে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান, করোনা রোগীদের বাসায় বাসায় খাবার ও ওষুধ সরবরাহ করা, ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস কর্মসূচির আওতায় প্রথমে ১০টি হলুদ অটোরিকশা দিয়ে এবং পরে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সেবা প্রদান, 'মানবতার পাঠশালা' কর্মসূচির মাধ্যমে ডিভাইস ব্যবহারের সুযোগ না পাওয়া দরিদ্র এলাকার শিশুদের  শিক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিত করা, 'কমিউনিটি কিচেন' কর্মসূচির আওতায় প্রতিদিন ৮০০ পরিবারকে এক বেলা খাবার প্রদানসহ করোনা রোগীদের জন্য ২৪ ঘণ্টার প্রয়োজনীয় সেবা চলমান।

ইসমাঈল হোসাঈন/এনএ