টানা ১০ দিন কল দিয়েও ৩৩৩ নম্বরে সংযোগ পাননি ফেরিওয়ালা আফসার উদ্দীন। তার পক্ষে খাদ্যসহায়তার বিষয়টি ফেসবুকে তুলে ধরেন এক সাংবাদিক। অবশেষে বুধবার (০৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অসহায় আফসার উদ্দীনের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

আফসার উদ্দীন গাজী সাতক্ষীরার তালা সদরের মাঝিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ফেরিওয়ালা হলেও লকডাউনে বন্ধ হয়ে গেছে তার কাজ। 

আফসার উদ্দীন জানান, করোনার সময়ে আয় রোজগার নেই। লকডাউনে পড়ে এখন ফেরিও করতে পারি না। বাড়িতে খাবার নেই। সরকার গরিব মানুষদের অনেক সহায়তা দিচ্ছে। তবে আমি কোনো সহায়তা পাইনি। শুনেছিলাম, ৩৩৩ নম্বরে কল দিয়ে জানালে সহায়তা পাব। ১০ দিন চেষ্টা করেও ওই নম্বরে কথা বলতে পারিনি। 

বিষয়টি এক সাংবাদিককে জানানোর পর তিনি সেটি ভিডিও করে ফেসবুকে দেন। আজ সন্ধ্যার আগে উপজেলা অফিস থেকে পিআইও স্যার এসে চাল, ডাল, আলু, তেল ও লবণ দিয়ে গেছেন। সার্বিক খোঁজখবর নিয়ে বলে গেছেন, এগুলো খাবেন। পরবর্তীতে আমরা আপনাকে সহযোগিতা করব।

আফসার উদ্দীনের অসহায়ত্বের বিষয়টি মঙ্গলবার (০৩ আগস্ট) রাতে নিজ ফেসবুকে তুলে ধরেন ঢাকা পোস্টের সাংবাদিক আকরামুল ইসলাম। ওই রাতেই ভালোবাসার মঞ্চের পক্ষ থেকে অসহায় মানুষটিকে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেন ওই গ্রুপের সদস্যরা।

তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিফ উল হাসান বলেন, সরকারের জরুরি খাদ্যসহায়তার জন্য দেওয়া নম্বরে (৩৩৩) অনেক সময় কল ঢুকতে দেরি হয়। অনেক মানুষ একযোগে চেষ্টা করেন। করোনাকালীন সরকার অসহায় মানুষদের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। অনেক সময় প্রকৃত ব্যক্তির নাম-ঠিকানা আমাদের কাছে পৌঁছায় না। জানতে পারলেই তাদের খাদ্যসহায়তা বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। আফসার উদ্দীনের ঘটনাটি জানার পর তার বাড়িতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওবায়দুল হককে পাঠিয়ে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। 

আকরামুল ইসলাম/এসপি