কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছে ৭ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি মৃত ডলফিন। শনিবার (৭ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিম দিকে মিরা বাড়ি সংলগ্ন সৈকতে মৃত ডলফিনটি দেখতে পান স্থানীয় জেলেরা। পরে মৎস্য বিভাগ ও কুয়াকাটা পৌরসভার কর্মকর্তাদের খবর দেন তারা।

স্থানীয়রা জেলে নিজাম উদ্দিন বলেন, বিকেল ৪টার দিকে সমুদ্র থেকে ভেসে আসে ডলফিনটি।

আরেক জেলে আনোয়ার মাঝি বলেন, আমরা আগে পরে অনেক ডলফিন দেখেছি। এটির কমপক্ষে ৭ ফুটের হবে। ডলফিনের সম্মুখভাগে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, জেলেদের জালের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে। আগেও বেশ কয়েকটি মৃত ডলফিন ও তিমি সৈকতে ভেসে এসেছে।

এদিকে কী কারণে এসব ডলফিনের মৃত্যু হচ্ছে সেটা নিশ্চিত করতে পারেনি মৎস্য বিভাগ। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, স্থানীয় জেলেরা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। কী কারণে ডলফিনটি মারা গেছে, সেটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এ জাতীয় ডলফিন সমুদ্রের ছোট ছোট মাছ খেয়ে বেঁচে থাকে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, জেলেদের জালের আঘাতে মারা যেতে পারে। অনেক সময় বয়সের কারণে এ জাতীয় ডলফিন মারা যায়। যা পরে স্রোতের উপকূলে ভেসে আসে। ইতোমধ্যে মাছটিকে বালু চাপা দেওয়া হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড ফিস বাংলাদেশের এনহ্যান্সড কোস্টাল ফিশারিজ ইন বাংলাদেশ (ইকো ফিশ-২) অ্যাক্টিভিটির পটুয়াখালীর সহকারী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী এলাকায় বেশকিছু দিন ধরে একশ্রেণির জেলেরা হাজারি বড়শি (দড়ির সঙ্গে ৬ ইঞ্চি পরপর বড়শি পাঁতা থাকে) ফেলে শাপলাপাতা মাছসহ অন্য প্রজাতির মাছ ধরে থাকেন। দড়ির সঙ্গে বড়শি বাঁধা থাকে ৮০০ থেকে এক হাজার। বড়শিগুলো মাটির সঙ্গে মিশিয়ে ফেলে রাখা হয়। এসব বড়শি ধারালো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ডলফিনটি এ ধরনের বড়শিতে আটকা পড়ে আঘাত পেয়ে মারা গেছে।

কাজী সাঈদ/এসএসএইচ