রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি স্বল্পতা আর পদ্মার তীব্র স্রোতে চলাচল অনেকটা ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ভারী যানবাহন পারাপারে নিষেধাজ্ঞার কারণে এ রুটের অধিকাংশ গাড়ি দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুট ব্যবহার করায় গাড়ির চাপ পড়েছে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায়।

এই মুহূর্তে নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে ৫ শতাধিক যানবাহন। এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যায় বেশি। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, নদী পারের জন্য ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দুই কিলোমিটার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত অপেক্ষা করছে দুই শতাধিক যানবাহন।

এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি। দূরপাল্লার বাসের সংখ্যা কম। তবে ব্যক্তিগত গাড়ির তেমন কোনো চাপ নেই। সরাসরি ফেরিতে ওঠে যাচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়ি।

অপরদিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১৩.৫ কিলোমিটার পেছনে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে আহ্লাদিপুর পর্যন্ত রাজবাড়ীর দিকে ৩ কিলোমিটার সড়কে ৩ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে।

গোয়ালন্দ মোড়ে আটকে থাকা যশোর থেকে ছেড়ে আসা রডবোঝাই ট্রাকের ড্রাইভার মোজাম্মেল হক বলেন, গতকাল রাতে এসে এখানে পৌঁছেছি। এ জায়গায় কোনো খাবার হোটেল, পাবলিক টয়লেট না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। জানি না কখন ফেরির নাগাল পাব।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের  ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচলে সীমিত করায় এই ঘাটে চাপ বেড়েছে। এসব যাত্রী ও যানবাহনকে নদী পার করানোর জন্য দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৭ ফেরি চলাচল করছে।

মীর সামসুজ্জামান/এমএসআর