নদীতে তীব্র স্রোত, ফেরি সংকট, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচলে বিধি-নিষেধের কারণে শরীয়তপুর-চাঁদপুর রুটের নরসিংহপুর ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রী ও চালকরা। বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার আব্দুল মমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, খুলনা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নরসিংহপুর ঘাটে ছয়টি ফেরি চলছে। এ ফেরি দিয়ে প্রতিদিন ৪৩০ থেকে ৪৫০টি যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ফেরি কাকলি এ রুটে যোগ হওয়ার কথা থাকলেও শুক্রবার সকালে পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় ফেরির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কবে নাগাদ ঠিক হয়ে এই রুটে চলাচল করবে তা জানা যায়নি।

সরেজমিনে নরসিংহপুর ঘাটে দেখা যায়, নদী পারের জন্য খুলনা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিশ্বরোড থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটারজুড়ে চার শতাধিক গাড়ি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে খায়েরপট্টি থেকে ঘাট মোড় পর্যন্ত দুই সারিতে ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। দূরপাল্লার বাসের সংখ্যাও কম নয়। তবে ব্যক্তিগত গাড়ির তেমন কোনো চাপ নেই। সরাসরি ফেরিতে উঠে যাচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়ি।

পারাপারের অপেক্ষায় থাকা রাসেল নামে এক চালক বলেন, গতকাল বিকেলে এসেছি। চট্টগ্রাম যাবো। গাড়িতে পেঁয়াজ রয়েছে। অর্ধেক তেরপাল খুলে রাখা হয়েছে। বৃষ্টি এলে আবার তা বন্ধ করতে হচ্ছে। সামনে অনেক গাড়ি আটকে রয়েছে। ফেরি বাড়ালে কিছুটা যানবাহনের চাপ কমবে।

বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার আব্দুল মমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘাটে গাড়ির কিছুটা চাপ রয়েছে। আমাদের এই রুটে ছয়টি ফেরি রয়েছে। সেগুলো নিরবিচ্ছিন্নভাবে পারাপার করে যাচ্ছে। নতুন ফেরি কবে এই রুটে আসবে তা বলা যাচ্ছে না। হঠাৎ করে বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচলে বিধি-নিষেধ দেওয়ায় এই চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসপি