কুমিল্লার বরুড়ায় জাতীয় শোক দিবস পালন শেষে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষে ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। রোববার (১৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বরুড়া পৌরসদর বাজারে ঝলম বাসস্ট্যান্ডের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বরুড়া পৌরসদরে সকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বরুড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে উপজেলা চেয়ারম্যান এএনএম মইনুল ইসলাম ও তার সমর্থকরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এ সময় তাদের কিছু নেতাকর্মীকে জিরো পয়েন্টে গতিরোধ করে মাজহারুল ইসলাম নামের একজন কর্মীকে ছুরিকাঘাত করে প্রতিপক্ষের কর্মীরা। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে চেয়ারম্যান সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে এমপি গ্রুপের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

সংঘর্ষের সময় বরুড়া পৌরসভার আওয়ামী লীগের সদস্য আবু মিয়া ও কুমিল্লা (দক্ষিণ) জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন গুরুতর আহত হন। তারা কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বরুড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক (চেয়ারম্যান সমর্থক) গাজী বিল্লাল হোসেন জানান, আমরা থানা রোডস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে একটি শোক র‌্যালি বের করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমবেত হই।

তিনি আরও বলেন, এ সময় আমাদের মাজহার নামের এক কর্মীকে এমপি সমর্থকদের কে বা কাহারা হামলা করে। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে আমাদের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আহত মাজহারকে কুমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার শরীরে ২৩টি সেলাই দেওয়া হয়।

বরুড়া পৌরসভার আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক (এমপি সমর্থক) আবদুর রশিদ জানান, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শোক দিবস পালন শেষে অফিসে অবস্থান নিয়েছিলাম। এরপর নেতাকর্মীরা বাড়ি ফিরে যান। আবু মিয়া অফিস থেকে বের হয়ে বাড়ি ফেরার পথে পৌরসদর বাজারের জিরো পয়েন্টে তার ওপর হামলা চালানো হয়। আর নাছির উদ্দীনকে দোকানে অবস্থানরত অবস্থায় হামলা চালানো হয়।

বরুড়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত) নাহিদ আহমেদ জানান, এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে শুনেছি ব্যক্তিগত বিরোধ থেকে এ হামলা চালানো হয়েছে।

এমএসআর