নদীর তীব্র স্রোত, বাংলাবাজার ও মাওয়া রুটে ফেরি চলাচলে বিধিনিষেধ, ভারী যানবাহন বন্ধ থাকা যানবাহনগুলো শরীয়তপুর-চাঁদপুর ফেরিঘাট ব্যবহার করায় পাঁচ দিন ধরে যানবাহনের চাপ কমানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই সোমবার সকাল থেকে ঘাট থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার যানজটে ৩০০ যানবাহন আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পরিবহনের যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রাকচালকরা।

বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, মোংলা স্থলবন্দর, ভোমরা স্থলবন্দর, বেনাপোল, বরিশাল, খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার পরিবহন শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের নরসিংহপুর এলাকার ফেরিঘাট দিয়ে নদী পারাপার হয়ে থাকে। নরসিংহপুর ফেরিঘাটে নিয়মিত ৬টি ফেরি চলে। বাড়তি চাপের কারণে রোববার (১৫ আগস্ট) কাকলী নামের একটি বড় ফেরি যুক্ত হয়েছে এই রুটে। এখন প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৬৩০টি যানবাহন পারাপার হতে পারে।

সরেজমিনে দেখা যায়, নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে ৩০০ যানবাহন। এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বেশি। খুলনা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিশ্বরোডের খায়েরপট্টি থেকে ফেরিঘাট প্রায় আড়াই কিলোমিটারে এসব গাড়ি আটকে আছে। এর মধ্যে খায়েরপট্টির মাথা থেকে ঘাট মোড় পর্যন্ত দুই সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা সবগুলো ট্রাক। অন্যদিকে ঘাটের মোড় থেকে ঘাট পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাস পারাপারের অপেক্ষায় আছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ির তেমন কোনো চাপ নেই। এগুলো সরাসরি ফেরিতে উঠে যাচ্ছে।

নদী পারের অপেক্ষায় থাকা ট্রাকচালক আনিস মিয়া, হক সরদার বলেন, গতকাল দুপুরে এখানে এসেছি। সন্ধ্যা হলে যাত্রীবাহী বাস বেশি ওঠানো হয়। তখন একেবারে কমে যায় ট্রাক পারাপার। এতে যেমন ঝুঁকিতে আছেন ব্যবসায়ীরা, তেমনই কষ্টে আছি আমরা। ঘাটে পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গা নেই গাড়ি রাখার।

কুয়াকাটা থেকে আসা হালিমা বেগম জানান, ভোরে এইখানে এসেছি। গাড়ির প্রচুর চাপ থাকায় নদী পার হতে পারছি না। এখানে হোটেল আছে কিন্তু খাবারের মান ভালো না। পরিবার নিয়ে এখন আটকে আছি।

বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার আব্দুল মমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কয়েক দিন ধরে ফেরিঘাটে অনেক চাপ পড়েছে। স্রোত, বাংলাবাজার ও মাওয়া রুটে ফেরি চলাচলে বিভিন্ন বিধিনিষেধ থাকায় এই রুটে চাপ পড়েছে। ঘাটে এখনো ৩০০-এর বেশি যানবাহন আটকে আছে। নতুন একটি ফেরি চলছে। আশা রাখি দ্রুত যানবাহনের চাপ কমবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এনএ