কনকনে শীত উপক্ষো করে অনেকে বেড়িয়েছেন কাজে

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দিন দিন কমছে তাপমাত্রা, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীত। উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমালয়ের হিম বাতাসের কারণে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রির ঘরে এসে নেমেছে। তাপমাত্রা ওঠানামার কারণে দিনদিন বাড়ছে শীতের দাপট। হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে সবচেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন জেলার বিভিন্ন এলাকার খেটে খাওয়া দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে হাড় কাঁপানো শীত আর ঘন কুয়াশার দাপটের কারণে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। তাছাড়া কনকনে শীতে অনেকে কাজে যেতে পারছেন না। ফলে কাজ না পেয়ে বেকার সময় পার করতে হচ্ছে তাদের। 

জানা যায়, সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত হিমেল হাওয়া ও কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকে পঞ্চগড়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের মুখ আলো দেখা গেলেও থাকে না কোনো উত্তাপ। দিনের বেলায় শীত কিছুটা কম থাকলেও প্রতিনিয়ত থাকছে ঠান্ডা বাতাস। তাছাড়া তীব্র শীতের কারণে দিন দিন হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। আর শীতজনিত রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।

সকালে ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চালানো হচ্ছে যানবাহন

এ বিষয়ে কথা হয় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী এলাকার বাসিন্দা রহিমা খাতুনের সঙ্গে। তিনি জানান, কয়েকদিন থেকে কনকনে শীত করে। এই শীতের কারণে আমরা তেমন কাজ করতে পারি না। তারপরও সকাল থেকে এই ঠান্ঠা পানিতে আমরা কাজ করছি। আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি না। 

‘কনকনে শীতের কারণে আমরা ভ্যান চালাতে পারছি না। তাছাড়া শীতের কারণে মানুষ ঘর থেকে বের না হওয়ায় যাত্রী না পেয়ে বেকার সময় পার করতেছি।’ বলেন পঞ্চগড় শহরের ভ্যানচালক ইসলাম।

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, হিমালয়ের হিম বাতাসের কারণে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। ফলে এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, সঙ্গে কনকনে হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশা। শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার আরও আশঙ্কা রয়েছে।

পড়ুন: সারাদেশের আবহাওয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি

এমএসআর