জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশবের খেলার মাঠ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব-কৈশোরকাল কেটেছে গোপালগঞ্জের পাটগাতী ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। শৈশব থেকেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন ক্রীড়াপ্রেমী। পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে প্রিয় খেলা ফুটবল ছাড়াও বিভিন্ন খেলায় মেতে উঠতেন টুঙ্গিপাড়ার এই খেলার মাঠে। বঙ্গবন্ধুর শৈশবের খেলার মাঠটি এখন কেবলই স্মৃতিময়।

দীর্ঘবছর ধরে মাঠটি পরিত্যক্ত থাকলেও শিগগির খেলার উপযোগী ও উন্নয়ন করা হবে বলে জানান টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ আহমেদ হোসেন মীর্জা।

জানা যায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছোটবেলায় ফুটবল খেলা বেশি পছন্দ করতেন। আর তাই প্রিয় ফুটবল নিয়ে টুঙ্গিপাড়ার খেলার মাঠে দুরন্তপনায় মেতে উঠতেন তিনি। ভালো ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। ফুটবল ছাড়াও মাঠটিতে তিনি পাড়ার ছেলেদের নিয়ে দাঁড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট, হাডুডু, ফুটবলসহ নানা খেলা খেলতেন।

শুধু রাজনীতির মাঠ নয়, খেলার মাঠেও আকর্ষণীয় চরিত্রে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ভালো খেলোয়াড় হওয়ায় খেলার মাঠেও তিনি নেতৃত্ব দিতেন। বাল্যকালে খেলার মাঠ থেকে উঠে আসা সেই দক্ষ নেতাই সারা বাংলার প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

‘আগে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো সংরক্ষণের অভাবে দর্শনার্থীরা অনেক কিছুই জানতে পারেনি। কিন্তু এখন অনেক কিছুই সংরক্ষণ করা হয়েছে। এতে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো দেখতে দিন দিন দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। এখানে এসে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাসের অনেক কিছুই জানতে পারছি।’ বলেন আকবর হোসেন নামে এক দর্শনার্থী।

জাহিদ হাসান নামে এক বঙ্গবন্ধুপ্রেমী বলেন, ‘টুঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি। বঙ্গবন্ধুকে চোখে দেখিনি। তাই এখানে এসে তার শৈশবের খেলার মাঠ, আদিবাড়ি, হিজলতলাঘাট, লাইব্রেরি, জাদুঘরসহ স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন স্থান দেখে অনেক কিছু জানতে পারছি।’

পর্যটক ও শিশু-কিশোরসহ নানান বয়সের বঙ্গবন্ধুপ্রেমীরা টুঙ্গিপাড়ায় মাজারে এসে যাতে বঙ্গবন্ধুর শৈশব-কৈশোরকাল সম্পর্কে অনুধাবন করতে পারে— এ জন্য তার শৈশবের স্মৃতিচিহ্ন আঁকা খেলার মাঠসহ স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো সংরক্ষণে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।

টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা মেয়র শেখ আহমেদ হোসেন মীর্জা বলেন, বঙ্গবন্ধুর খেলার মাঠটি জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। আমি মাঠটি সংরক্ষণে যতটুকু পেরেছি ততটুকু করেছে। আমি জানতে পেরেছি, এখানে শিশুদের জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধরে রাখার জন্য বঙ্গবন্ধুর পদচিহ্ন যেখানে যেখানে পড়েছে, সেটা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এমএসআর