নিখোঁজের ৪ দিন পর হাসপাতালের ডোবায় মিলল করোনা রোগীর লাশ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিখোঁজের চার দিন পর সোনা মিয়া ফকির (৭০) নামে এক করোনা রোগীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২১ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টার দিকে তার মরদেহ হাসপাতালের ডোবায় ভেসে ওঠে।
জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব আড়াচন্ডি গ্রামের বাসিন্দা সোনা মিয়া ফকির করোনায় আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনেরা ১২ আগস্ট তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ১৭ আগস্ট তিনি করোনা ওয়ার্ড থেকে নিখোঁজ হন। ওই দিনই তার ছেলে রহমান ফকির থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এবং বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করেন।
বিজ্ঞাপন
শনিবার সকালে মরদেহটি হাসপাতালের পেছনের ডোবায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে শরীয়তপুরে সদর হাসপাতেলের মর্গে পাঠায়।
সোনা মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান ফকির বলেন, গত ১৭ তারিখে আমরা হাসপাতালে এসেছিলাম বাবার খবর নেওয়ার জন্য। কিন্তু তাকে সেখানে পাইনি। তাই থানায় একটি জিডি করি।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে আমার বাবা উধাও হয়ে গেছে। এই মৃত্যুর দায় কে নেবে? আমরা আমাদের বাবাকে হারালাম। এর বিচার চাই সরকারের কাছে।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ট্রমা সেন্টারের কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোনা মিয়া ফকির করোনা ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত ১৭ আগস্ট তার পরিবারের লোকজন আসে খোঁজ নেওয়ার জন্য, কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। আজ সকালে স্থানীয়রা তার মরদেহ ডোবায় পড়ে আছে দেখে আমাদের জানালে আমরা পুলিশকে খবর দেই।
হাসপাতাল থেকে তিনি কীভাবে বের হলেন এবং চিকিৎসায় কোনো গাফিলতি রয়েছে কিনা জানতে চাইলে ফোন কেটে দেন মাহমুদুল হাসান।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, গত ১৭ আগস্ট সোনা মিয়ার ছেলে আব্দুর রহিম একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আমরা খোঁজ নিচ্ছিলাম। হাসপাতালের ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট আসলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর