করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে যেমন বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা, তেমনি সঠিক তদারকি আর যত্নের অভাবে নষ্ট হচ্ছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণ। এমনই এক চিত্র দেখা গেল কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দাশিয়ারছড়া বুদ্ধি ও অটিস্টিক প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টিতে।

সরেজমিনে স্কুলটিতে দেখা যায়, স্কুলের মাঠে ও বারান্দায় বাঁধা রয়েছে গরু। শ্রেণিকক্ষের ভেতরে গরুর খাবার, খড় রাখা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষগুলোর বারান্দায় গরুর গোবর পড়ে আছে। প্রতিবন্ধীদের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি পরিণত হয়েছে গো-শালায়। প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির উদাসীনতায় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদানের পরিবেশ।

জানা গেছে, ২০১৫ সালে ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময়ের পর কয়েক মাসের মাথায় গড়ে উঠে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির শুরুতে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন রওশন আরা মাহমুদা নামে একজন শিক্ষিকা। বর্তমানে তিনি অন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। 

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের পদে থাকা শিক্ষক মাহমুদা বলেন, গোয়ালঘর কিংবা স্কুলের কোনো বিষয় সম্পর্কে আমি ঠিক বলতে পারবো না। এখন আর আমি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে নেই।

ফুলবাড়ী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. এরশাদুল হক বলেন, প্রতিবন্ধী স্কুলটি আমাদের আওতায় নয়। এটা সমাজ সেবা অধিদফতরের আওতায় পড়েছে। তাই এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারবো না।

ফুলবাড়ী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রাহেনুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

জুয়েল রানা/এসপি