মোমবাতির আলোয় ভোটগ্রহণ করা হয়

শীত উপেক্ষা করে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে ৬ নম্বর সেন্টার হরিরামপুর গিয়াস উদ্দিন মেমোরিয়াল বহুভাষী সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি কেন্দ্রে মোমবাতির আলোয় ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। 

একই কেন্দ্রের অন্য বুথে বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলেও ২ নম্বর কক্ষে মোমবাতির আলোয় ভোটগ্রহণ করা হয়। ওই কেন্দ্রে মোমবাতির আলোয় ভোট দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল কবির চৌধুরী। এ নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নজিপুর পৌরসভা নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৯৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ২১৫ জন ও নারী ভোটার ৮ হাজার ৭৮২ জন। ৯টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণের জন্য ৯টি ভোট কেন্দ্রে ৪৮টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। দুইজন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে মোট ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জেলায় পৌর নির্বাচনে ভোটাররা এই প্রথম ইভিএমে ভোট হচ্ছে। ভোটগ্রহণে সময় কিছুটা বেশি লাগছে। ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্টে সময়ক্ষেপন হচ্ছে। ভোট দিতে কিছুটা সমস্যা হলেও স্বাচ্ছন্দ বোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন ভোটাররা।

চক জয়রাম মহল্লার নারী ভোটার পারুল বানু বলেন, আমরা আগে কাগজে সিল মেরে ভোট দিতাম। কাগজে দেখেশুনে পছন্দ মতো সিল মেরে দিতাম। তেমন সমস্যা হতো না। জীবনের প্রথম মেশিনের বাটন টিপে ভোট দিতে সমস্যায় পড়েছি। কীভাবে বাটন টিপবো স্যাররা শিখে দিয়েছেন। মেশিনের বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। তবে আমাদের আগে প্রশিক্ষণ দিলে ভালো হতো।

ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে না। ভোটের কোনো পরিবেশ নেই। কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। যে কয়জন প্রবেশ করেছিল তাদের বের করে দেয়া হয়েছে।

তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল কবির চৌধুরী বলেন, ভোট সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা দেখা যায়নি। বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্ট প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।

কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শাহিনুর রহমান বলেন, তার কেন্দ্রে ৭টি বুথে মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৩৭৬ জন। ওই কক্ষে প্রথম দিকে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় মোমবাতির আলোয় ভোট নেয়া হয়। পরে সকাল ১০টার দিকে বিদ্যুতের আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পত্নীতলা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার জাহিদুর রহমান বলেন, ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচনের মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

আরএআর