মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই উপজেলার সাতগাঁও চা-বাগান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শতাধিক গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হলেও বন বিভাগ বলছে, তারা কিছুই জানে না।

আর বাগান কর্তৃপক্ষ বলেছে, গাছ কাটার অনুমতি না নিলেও গাছগুলো করাতকলে চিরাই করার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় বন বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।

সরেজমিনে সাতগাঁও চা-বাগানে দেখা যায়, চা-বাগানের বিভিন্ন সেড ট্রি কেটে ম্যানেজার বাংলোর আশপাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে বেলজিয়াম, শিলকড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতি ও বয়সের গাছ রয়েছে।

বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক ইফতেখার আলম জানান, শ্রমিক কলোনির ঘর নির্মাণ ও পুনর্নিমাণকাজের জন্য এসব গাছ কাটা হয়েছে। বিভিন্ন সময় ঝড়ে এসব গাছ পড়ে গিয়েছিল। মৃত গাছে উলু পোকা আক্রমণ করে থাকে। চা-গাছের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে এসব গাছ কাটা হয়েছে।

তবে গাছ কাটতে বন বিভাগের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি স্বীকার করে ইফতেখার আলম বলেন, গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের অনুমতি না থাকলেও, করাতকলে গাছ চিরাই করার জন্য অনুমতি চেয়ে বন বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।

সাতগাঁও চা-বাগানের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, বাগানের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ের কবলে প্রায় ৭০টি গাছ পড়ে যায়। এগুলোই কাটা হয়েছে।

শ্রীমঙ্গল বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) আবু বক্কর বলেন, সাতগাঁও চা-বাগান কর্তৃক গাছ কাটার বিষয়টি আমি জানি না। চা-বাগানের গাছ কাটতে বন বিভাগ ছাড়াও চা বোর্ড, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে লিখিত অবহিত করার নিয়ম রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে গঠিত কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

ওমর ফারুক নাঈম/এনএ