সহকারী পুলিশ সুপার সারোয়ার কবির ও কনস্টেবল আহসানুল হক

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় মা-ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের সময় রংপুর জোনের সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপারসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে দিনাজপুর সদর উপজেলার বাঁশেরহাট থেকে তাদের আটক করা হয়। 

আটক ৩ জন হলেন- রংপুর জোনের সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার কবির, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক।

জানা গেছে, চিরিরবন্দর থানার নান্দেড়াই গ্রামের লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার অভিযোগ আছে এমন কথা বলে (অভিযোগ সঠিক কি না জানা যায়নি) তার বাড়িতে অভিযানে যান সিআইডি পুলিশের ওই তিন সদস্য। লুৎফরকে না পেয়ে তারা তার স্ত্রী জহুরা ও ছেলে জাহাঙ্গীরকে কালো একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেন। পরে পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। টাকা না দিলে তাদের মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেন। 

এ ঘটনায় পরিবার থানা পুলিশের শরণাপন্ন হয়। এদিকে ওই তিন পুলিশ সদস্য মঙ্গলবার বিকেলে ন্যূনতম সাড়ে আট লাখ টাকা নিয়ে চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দর বাজারে আসতে বলেন জাহাঙ্গিরের স্বজনদের। রানীরবন্দর বাজারে টাকা নিয়ে গেলে তাদের আবার কাহরোল থানার দশমাইল মোড়ে আসতে বলেন। তারা দশমাইল গেলে ফের সদর উপজেরার বাঁশেরহাট যেতে বলেন। এই প্রক্রিয়া চলার মধ্যেই দিনাজপুর জেলা পুলিশ ও সিআইডি দিনাজপুর যৌথভাবে তাদের বাঁশেরহাট থেকে আটক করে। 

আটক পুলিশ সদস্যদের প্রথমে চিরিরবন্দর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে দিনাজপুর এসপির সঙ্গে আলোচনা করে এসপি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা বর্তমানে দিনাজপুর পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

চিরিরবন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানাব।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রংপুর জোনের সিআইডির ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার (এসপি) আতাউর রহমান। তিনি বলেন, আটক হওয়া তিনজনের মধ্যে একজন এএসপি, একজন এএসআই এবং একজন কনস্টেবল রয়েছেন। তাদের মধ্যে এএসআই ও কনস্টেবল ২১ আগস্ট থেকে দশ দিনের ছুটিতে ছিলেন। 
 
তিনি আরও বলেন, সরকারি গাড়ি ব্যবহার না করে আমার অনুমতি ছাড়া ভাড়া করা একটি গাড়ি নিয়ে অপারেশনে যান তারা। আটক হওয়ার পর আমাকে জানানো হয়েছে। তারা যে আমাদের স্টাফ তা আমি জানিয়েছি।

এসপি/জেএস