দিনাজপুরে লাঠিতে ভর দিয়ে আফিলা এবং নাতির কাঁধে ভর দিয়ে ভোটকেন্দ্রে এসেছেন রওশন আলী

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ইভিএমে এবং বিরামপুর ও দিনাজপুর সদরে ব্যালটের মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ চলছে। সকালে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি কম থাকলে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়তে থাকে।

সরেজমিনে জেলার বিরামপুর পৌর নির্বাচনে ঢেলুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে গিয়ে দেখা হয় ৮০ বছর বয়সী আফিলা বেগমের সঙ্গে। তিনি এক হাতে লাঠিতে ভর দিয়ে অন্য হাত মেয়ের কাঁধে রেখে ভোট দিতে এসেছেন। এছাড়াও বিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পূর্বপাড়া কেন্দ্রে নাতির কাঁধে চেপে ভোট দিতে এসেছেন ৯৫ বছর বয়সী রওশন আলী।

জানতে চাইলে বৃদ্ধ রওশন আলী বলেন, খুব শীত। তারপরও ভোট দিতে এসেছি। শেষ সময়ে আর কপালে ভোট জুটবে কিনা জানি না। এটাই শেষ ভোট হতে পারে। তাই নাতির কাঁধে হাত রেখে ভোট দিতে এসেছি।

ঢেলুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ভোট দিতে আসা আফিলা বলেন, একটা ভোটের মেলা দাম। তাই শীতের মধ্যেও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে আইচি। 

দ্বিতীয় দফা পৌরসভা নির্বাচনে দিনাজপুরে হুইল চেয়ারে বসেই প্রথমবারে মতো ইভিএমে ভোট দিলেন নিরানব্বই বছর বয়সী বৃদ্ধ শরিফ উদ্দিন চৌধুরী। এছাড়াও একই কেন্দ্রে ছেলের কোলে করে ভোট দিতে আসেন ছকিনা বেওয়া (৭৫) নামের এক বৃদ্ধা।

ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইটিং অফিসার বলেন, কেন্দ্রটিতে এবার ভোটার সংখ্যা ১৩৯২ জন। সকাল সাড়ে ১০ পর্যন্ত প্রায় ৩০ শতাংশ ভোট হয়েছে। লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ ভোট দিচ্ছেন। কোনো সমস্যা হয়নি।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবার তিন পৌরসভার মধ্যে ১৪ জন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে বিরামপুরে ৪ জন, সদর পৌরসভায় ৫ জন এবং বীরগঞ্জ পৌরসভায় ৫ জন প্রার্থী রয়েছে। এর মধ্যে কাউন্সিলর পদে সদর পৌরসভায় ৬৫ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী, বিরামপুরে ৩২ পুরুষ, ১৬ নারী এবং বীরগঞ্জে ৪১ পুরুষ ১৩ জন নারী সংরক্ষিত আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

সদর পৌরসভায় ১ লাখ ৩০ হাজার ৮০৩ জন, বিরামপুরে ৩৬ হাজার ৬৫৮ জন এবং বীরগঞ্জে ১৫ হাজার ৫৪৫ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

এসপি