টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে হানা দিয়েছে করোনা। অফিসের ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ছয়জন করোনায় আক্রান্ত। উপসর্গ দেখা দেওয়ায় মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) নতুন করে আরও তিনজনের নমুনা পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছে। এতে স্বল্প সংখ্যক লোকবল দিয়ে গ্রাহকদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

ফলে জরুরি ছাড়া কোনো পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে তৈরি হওয়া পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক বিপুল কুমার গোস্বামী।

মঙ্গলবার সকালে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনে টাঙানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ছয়জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ফলে পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম সাময়িকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কোভিড-১৯ সংকটকাল পার না হওয়া পর্যন্ত শুধু জরুরি পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণ কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালু থাকবে। এ সময় সকলকে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে জরুরি পাসপোর্ট সেবা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এ ছাড়া তৈরি পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম যথারীতি চলমান থাকবে।

এদিকে এমন বিধিনিষেধে পাসপোর্ট অফিসে আসা গ্রাহকরা পড়েছেন বিপাকে। সকাল থেকেই পাসপোর্ট আবেদনকারীরা অফিসে এসে ভিড় করেছেন। কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন তারা।

টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক বিপুল কুমার গোস্বামী বলেন, যাদের খুবই প্রয়োজন তাদের আবেদন গ্রহণ করা হবে। এদের মধ্যে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ, ভিসা নিয়ে বিদেশ যাবেন, চিকিৎসা বা ওমরাহর জন্য যাবেন বিশেষ করে যাদের খুবই প্রয়োজন তাদেরটা গ্রহণ করা হচ্ছে। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে পাসপোর্ট অফিসের ডিএডিসহ আরও একজন কর্মকর্তা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। নতুন করে তিনজনের নমুনা দেওয়া হয়েছে। ফলে আগামী ১৫ দিনের জন্য পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, আমি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলাম। এরপর আবারও নতুন করে উপসর্গ দেখা দিয়েছে। কাশিসহ অন্যান্য সমস্যায় ভুগছি।

অভিজিৎ ঘোষ/এসপি