ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি আবার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, দুধকুমারসহ অন্য নদ-নদীর পানিও। এতে করে ধরলাসহ অন্য নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সব নদ-নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে শুরু হয়েছে ভাঙন। এছাড়াও ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বেকায়দায় পড়েছেন দিনমজুরসহ নদীপাড়ের মানুষ।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত থেমে থেমে থাকার শঙ্কা রয়েছে।

জানা যায়, নদ-নদীতে পানি কমা ও বাড়ার কারণে রাজারহাট উপজেলার তিস্তা নদীর প্রায় ৪৫ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। ভাঙনের ফলে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন তিস্তাপাড়ের মানুষ। ইতোমধ্যে তিস্তাপাড়ের অনেক ঘরবাড়ি ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রামহরি গ্রামের ইদ্রিস আলী বলেন, আমার আগে থাকার মতো ঘর ছিল না। ছেলে ঢাকায় গিয়ে আয় করে ২ লাখ টাকা দিয়েছে। সেই টাকা ব্যয়ে আধা পাকা দুই রুমবিশিষ্ট একটি ঘর তুলেছি। যেকোনো মুহূর্তে ঘরটি তিস্তায় বিলীন হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, দ্বিতীয় দফায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বড় ধরনের বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।

জুয়েল রানা/এমএসআর