বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তা, দুধকুমারসহ অন্য নদীর পানিও। ফলে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার নিচু এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এসব এলাকার রোপা-আমনসহ বিভিন্ন সবজিখেত পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নদী অববাহিকার প্রায় ১০ হাজার মানুষ।

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের উজানে ভারতের কয়েক রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

কুড়িগ্রাম সদর ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি গ্রামের মুকুল মিয়া বলেন, কয়েক দিন আগে আমার রোপা ও আমনখেতে পানি ওঠে দুদিন পর নেমে যায়। হঠাৎ আবার বৃহস্পতিবার থেকে ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে আবারও আমার তিন বিঘা জমির আমন আবাদ ডুবে যায়।

উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, দুদিন থেকে আবার পানি বৃদ্ধির ফলে আমার ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত ১ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাছাড়াও শত শত বিঘা জমির ফসলি আবাদ ডুবে গেছে।

ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদুর রহমান বলেন, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে কিছু পরিবার বন্দি হয়ে পড়েছে। তবে কতগুলো পরিবার পানিবন্দি হয়েছে খবর নিতে গ্রাম পুলিশকে পাঠিয়েছি। সন্ধ্যায় বিস্তারিত জানাতে পারব।

জুয়েল রানা/এমএসআর