কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে রোকেয়া খাতুন (৬০) নামে এক নারীর আত্মহত্যার ৩০ মিনিটের মাথায় তার পুত্রবধূ হিরা খাতুনের (২৬) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের রামদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত রোকেয়া খাতুন পান্টি ইউনিয়নের রামদিয়া গ্রামের মৃত বসির উদ্দিনের স্ত্রী। আর হিরা খাতুন আব্দুর রহমানের স্ত্রী। আব্দুর রহমান বসির উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাশুড়ি রোকেয়া ও পুত্রবধূ হিরার মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। গত তিনদিন ধরে উভয়ের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ ছিল। একপর্যায়ে হিরা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পল্লী চিকিৎসক ডেকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা নিয়ে ছেলে আব্দুর রহমান তার মা ও স্ত্রীকে অনুরোধ করে দুজনের মধ্যে আপস মীমাংসা করে দেন। পরে রাত ২টার দিকে আব্দুর রহমান তার মাকে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে তার মাকে ঝুলে থাকতে দেখে প্রতিবেশীদের ডেকে মরদেহ নামান। অপরদিকে আব্দুর রহমানের মায়ের মরদেহ নামানোর ৩০ মিনিটের মাথায় তার স্ত্রী মারা যান। 

তবে হিরা খাতুনের মা রাশিদা খাতুনের অভিযোগ, তার মেয়ের গায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে। মেয়ের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। তার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। 

এ বিষয়ে পান্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান জানান, শাশুড়ি ও পুত্রবধূর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এর জেরে শাশুড়ি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আর পুত্রবধূ স্ট্রোক করে মারা গেছেন। তবে পুত্রবধূর বাবারবাড়ির লোকজন হত্যার অভিযোগ তুলেছেন।

কুমারখালী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিব হাসান বলেন, খবর পেয়ে সকালেই শাশুড়ি ও পুত্রবধূর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। পরে মরদেহগুলো কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে আসলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। 

রাজু আহমেদ/আরএআর