সৌন্দর্যের কারণে পদ্মফুলকে বলা হয় ‘জলজ ফুলের রানি’। কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে দিগন্তজুড়ে শোভা পাচ্ছে পদ্মফুলের গালিচা। পদ্মবিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে জেলার পাশাপাশি রাজধানী থেকেও ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে আসছেন। 

আকাশে সূর্য উঁকি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিলে আসেন পর্যটকরা। পদ্মফুল আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ভিড় করছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। নৌকায় ঘুরে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পদ্মফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করেন তারা। অনেকেই আবার এমন অপরূপ সৌন্দর্য ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি করে রাখছেন। স্থানীয়রাও ভ্রমণপিপাসুদের সার্বিক সহযোগিতা করছেন।

জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা সদরের অদূরে ছায়া সুনিবিড় ছবির মতো গ্রাম দাঁড়ি জাহাঙ্গীরপুর। এ গ্রাম সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে কাইনহা বিলের অবস্থান। বর্ষা ও শরৎকালে এ বিলের বুকজুড়ে দেখা দেয় পদ্ম ফুলের সমারোহ। এ কারণে দশগ্রামের মানুষের কাছে বিলটি পদ্মবিল হিসেবেই পরিচিত। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ফুলের বিছানা পেতে রেখেছে কেউ। 

ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রী লাবনী ঢাকা পোস্টকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাড়াইলের পদ্মবিলের ছবি দেখেছি। করোনার কারণে অনেক দিন ধরে ঘরবন্দি সময় কাটিয়েছি। বিলে এসে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য কাছ থেকে দেখে অনেক ভালো লাগছে।

স্ত্রী নিয়ে পদ্মবিলে ঘুরতে যাওয়া পাট গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্র কিশোরগঞ্জের বিজ্ঞানী আবুল বাশার বলেন, অনেক দিন পর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে পদ্মবিলে এসেছি। এখানে পদ্মফুলের সৌন্দর্য দেখে মনটা ভরে গেছে।

পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসছেন মায়া রাণী। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিলের কথা মানুষের কাছে অনেক শুনেছি। তাই আজ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিলে ঘুরতে আসছি। নৌকা দিয়ে বিল ঘুরে অনেক ভালো লাগছে।

ডিঙ্গি নৌকার মাঝি আহাদ আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, পদ্মফুল দেখতে প্রতি দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শত শত মানুষ আসে। দিনে চার-পাঁচবার করে একেকজন মাঝি নৌকায় লোকজন নিয়ে বিলে যায়। নৌকায় বিল দেখিয়ে বেশ ভালো আয় হচ্ছে। নৌকা দিয়ে দিনভর লোক ঘোরাই আর রাতে নৌকা দিয়ে মাছ ধরি।

তাড়াইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনোনীতা দাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, পদ্মবিলকে ঘিরে পর্যটনের যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

এসপি