নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যার হস্তক্ষেপে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৫) বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টার দায়ে কনের মাকে ১০ হাজার টাকা ও বরের বাবাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার ৫ নম্বর চর জুবলী ইউনিয়নের চর ব্যাগা গ্রামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৈতী সর্ববিদ্যা ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেন। এ সময় তাকে চরজব্বর থানা পুলিশ সহযোগিতা করে। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, সুবর্ণচর উপজেলার চর জুবলী ইউনিয়নের জামাল উদ্দিনের মেয়ে বিবি ফাতেমার বিয়ের আয়োজন চলছিল। সে স্থানীয় পাঙ্কার বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার মা লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরকাজী ইউনিয়নের এক ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করেন। পূর্ব নিধারিত তারিখ অনুসারে আজ কনের বাড়িতে মূল বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। খবর পেয়ে সুবর্ণচর থানার টহল পুলিশ চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হককে বিষয়টি জানায়। ওসি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন।

এ বিষয়ে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কনের মা ও বরের বাবাকে জরিমানা করেন।

সুবর্ণচর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা চৈতী সর্ববিদ্যা ঢাকা পোস্টকে  বলেন, কনের মা তার মেয়ের বাল্যবিয়ে দিচ্ছিলেন বলে স্বীকার করেন। তারপর ২০০৭ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং বরের বাবাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত সকলকে বাল্যবিয়ের কুফল ও এর আইনগত ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে। 

হাসিব আল আমিন/আরএআর