পাঁচ মাসের অধিক সময় বন্ধ থাকার পর উন্মুক্ত করা হয়েছে সুন্দরবনের দ্বার। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয় বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন। তবে ভ্রমণকালে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। এর আগে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে গত ৩ এপ্রিল সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় বন বিভাগ।

এদিকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় দীর্ঘদিন পরে আবার করমজল, কটকা, হাড়বাড়িয়া, হিরণ পয়েন্টসহ বিভিন্ন অঞ্চলে পর্যটকরা যেতে শুরু করেছেন। তবে ভ্রমণকালে মানতে হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি।

২৫ জনের গ্রুপ ভাগ করে নৌযান থেকে বনে নামতে পারছেন দর্শনার্থীরা। একসঙ্গে বেশি লোক নামা ও ঘোরাফেরায় সতর্ক করা হচ্ছে দর্শনার্থীদের। কেউ এ সব শর্ত ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বন বিভাগ।

গোপালগঞ্জ থেকে সপরিবারে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্রে ঘুরতে আসা লাইলি দম্পতি জানান, অনেকদিন করোনার কারণে গৃহবন্দি হয়ে ছিলাম। সুন্দরবন খুলে দেওয়ার খবর শুনে তাই পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি।

অপর এক দর্শনার্থী ফাহিম ফয়সাল বলেন, বন্ধুরা মিলে ঘুরতে এসেছি। অনেক দিন ধরে পরিকল্পনা ছিলো সুন্দরবনে আসার। কিন্তু করোনার কারনে আসতে পারিনি। আজ আসতে পেরে ভালো লাগছে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের ইকো-ট্যুরিজম করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবীর জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ থেকে সুন্দরবনে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারছেন। তবে এক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরিধানসহ নানা বিধি নিষেধ মানতে হবে দর্শনার্থীদের।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, শর্তসাপেক্ষে আজ থেকে দর্শনার্থীদের জন্য সুন্দরবন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণরোধে ভ্রমণকালে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধান করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ধারণক্ষমতার ভিত্তিতে একটি লঞ্চে সর্বোচ্চ ৭৫ জন পর্যটক নিতে পারবে। ২৫ জনের গ্রুপ ভাগ করে নৌযান থেকে নামতে হবে বনে। একসঙ্গে বেশি লোক নামা ও ঘোরাফেরা করা যাবে না। শর্ত ভঙ্গ করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তানজীম আহমেদ/এমএসআর