হাওরে স্বামীকে বেঁধে নববধূ গণধর্ষণের মামলা, গ্রেফতার ২
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার টিক্কা হাওরে নববধূকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় ৬ দিন পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ মামলাটি করেন। আদালত মামলা গ্রহণ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এফআইআরের নির্দেশ প্রদান করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদীর আইনজীবী হাফিজুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
বাদী মামলায় অভিযোগ করেন, এক মাস পূর্বে তিনি তার গ্রামের এক তরুণীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ২৫ আগস্ট স্ত্রীসহ বন্ধুকে নিয়ে উপজেলার টিক্কা হাওরে নৌকা নিয়ে আনন্দভ্রমণ করতে যান।
একপর্যায়ে মধ্য হাওরে যাওয়ার পর একই গ্রাম মোড়াকরি গ্রামের মুছা মিয়ার নেতৃত্বে ৮ জন যুবক তাদের নৌকাকে গতিরোধ করে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে হাওরের স্লুইসগেট নামক স্থানে নিয়ে স্বামী ও বন্ধুকে রশি দিয়ে বেঁধে তার স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে ভিডিওধারণ করে।
ভিডিওধারণের পর হুমকি দিয়ে বলা হয় যদি বিষয়টি কাউকে জানানো হয় কিংবা আইনশৃংখলা বাহিনীকে জানানো হয় তাহলে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে।
বাদী আরও অভিযোগ করেন তাদের হুমকিতে লোকলজ্জার ভয়ে তিনি এতদিন বিষয়টি গোপন রাখেন। গত বুধবার তার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তিনি হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বাদী বলেন, ঘটনার পর ধর্ষণের ধারণ করা ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তার নিকট ৯ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আসামিরা। অবশেষে তিনি নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুণ্যনাল-২ মামলা দায়ের করেন।
বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ মামলটি গ্রহণ করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআর করার জন্য লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মহিউদ্দিন সুমন জানান, ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে। তাদেরকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মোহাম্মদ নূর উদ্দিন/এমএসআর