সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের নগরী কক্সবাজারে বেড়েছে পর্যটক। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সাড়ে চার মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গেল ১৯ আগস্ট থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে শঙ্কা থাকলেও আশায় বুক বাঁধছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত অতিরিক্ত পর্যটক আগমন করে এ সমুদ্র শহরে। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, সমুদ্রসৈকতের লাবণী, কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্টে হাজার হাজার পর্যটক।

তারা বালিয়াড়িসহ সাগরের নোনাপানিতে আনন্দে মেতেছেন। কেউ ছবি তুলছেন, আবার কেউ সেলফিতে মেতে উঠেছেন। কেউ সমুদ্রের ঢেউয়ে পা ভেজাচ্ছেন, কেউবা সি-বেঞ্চে বসে আছেন আরাম করে। পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছেন অনেকে।

বিপুলসংখ্যক পর্যটকের আগমনে কর্মব্যস্ততা বেড়েছে সৈকত এলাকার ফটোগ্রাফার, জেড স্কি ও বিচ বাইক চালকদের। একই সঙ্গে জমজমাট ব্যবসা বার্মিজ মার্কেটগুলোতেও।

ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে পণ্যের কেনাবেচায় সরগরম দোকানগুলো। এছাড়াও সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্টগুলো ৫০ শতাংশ বুকিং হয়ে আছে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন এ ধারা অব্যাহত থাকলে ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

কলাতলী-মেরিনড্রাইভ হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান ঢাকা পোস্টতে বলেন, বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার পর্যটকের ব্যাপক সাড়া মিলছে। আশা করছি মহামারি কাটিয়ে আমরা আবার নতুন করে শুরু করতে পেরেছি। আগামীতেও ভালো ব্যবসা হবে বলে আশা করছি।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আবার বৃদ্ধি পাওয়ায় সৈকত এলাকায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর হচ্ছে প্রশাসন। করোনার চিন্তা মাথায় রেখে ব্যবসায়ীদেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক পরিধানে বাধ্য করে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সৈকতের কয়েকটি পয়েন্টে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কাজ চলছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে চাপ থাকলেও অতিরিক্ত সদস্য দিয়ে তা মোকাবিলা করা হয়। স্বাস্থ্যবিধিতে মানাতে বাধ্য করা হচ্ছে।

এমএসআর