বেসিনের ট্যাব খুলে নিয়ে গেল চোরেরা

হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে করোনার সংক্রমণ রোধে হাত ধোয়ার বেসিন বসানো হলেও তা জনগণের কাজে আসছে না। অধিকাংশ বেসিনে পানি ও সাবান নেই। মানুষের কাজে আসছে না এসব বেসিন। আবার অনেক স্থানে বেসিনের পানির ট্যাব খুলে নিয়ে গেছে চোরেরা।

এতে করে সরকারের গচ্চা গেছে সাড়ে সাত লাখ টাকা। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, কয়েকটি বেসিন নষ্ট ও ব্যবহারের অনুপযোগী। অন্যগুলো ঠিকই মানুষের উপকারে আসছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, করোনার সংক্রমণ রোধে হবিগঞ্জের প্রতি উপজেলায় দুটি ও জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছয়টিসহ ২৪টি হাত ধোয়ার বেসিন নির্মাণ করে হবিগঞ্জ জনস্বাস্থ্য অফিস। প্রতিটি বেসিনের নির্মাণব্যয় ধরা হয় ৩০ হাজার টাকা। মোট খরচ হয় সাড়ে সাত লাখ টাকা।

নির্মাণের পর কয়েকদিন পানি ও সাবান থাকলেও এখন নেই। অধিকাংশ বেসিন এখন ব্যবহারের অনুপযোগী। নেই পানি ও সাবান। দুটি বেসিনে এখনও পানির সংযোগ দেওয়া হয়নি। বেশ কয়েকটিতে পানির সংযোগ নেই। ফলে জনগণের সেবা দেওয়ার জন্য নির্মাণ হলেও কাজে আসছে না এসব বেসিন।

স্থানীয়রা জানান, নির্মাণের কয়েকদিন পানি দেওয়ার পর আর খোঁজখবর রাখেনি কেউ। কোনো জনপ্রতিনিধি কিংবা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে তদারকিতে পাওয়া যায়নি।

করোনার সংক্রমণ রোধে হাত ধোয়ার বেসিন বসানো হলেও তা জনগণের কাজে আসছে না

সরেজমিনে দেখা যায়, বেসিনের চারপাশে চা দোকান। পাশে ফল ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন। দূরে থেকে বোঝার উপায় নেই এখানে জনতার জন্য হাত ধোয়ার ব্যবস্থা আছে।

হবিগঞ্জ শরের তিনকোণা পুকুড়পাড় এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মতিউর রহমানা বলেন, করোনার মহামারিতে বেসিন বসানোর কয়েকদিন পরই আর পানি আসেনি। যে কারণে কেউ এটি ব্যবহার করেনি। এখান থেকে পানির ট্যাব নিয়ে গেছে চোরেরা। এখন বেসিনের চারপাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। জনগণের কোনো কাজে আসেনি এসব। 

একই এলাকার বাসিন্দা ফারুক আহমেদ বলেন, নির্মাণের পর কোনোদিন কেউ এসব তদারিক করতে আসেনি। বেসিনগুলো নির্মাণের ২-৩ দিন পানি এলেও এখন মাসের পর মাস পানি আসেনি। হাত ধোয়ার উপকরণ যে কারণে বেসিনগুলো মানুষ ব্যবহার করতে পারছে না।

হবিগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল কবির ভূঁইয়া বলেন, আমাদের অনেকগুলো বেসিন চালু আছে। তবে কয়েকটিতে পানি না থাকায় ব্যবহার করা হচ্ছে না। 

তিনি বলেন, বেসিনগুলো চালুর মূল উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষ করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হাত পরিষ্কার করবে। কিন্তু দেখা গেছে অনেক স্থানে নিম্নআয়ের লোকজন হাত ধোতে গিয়ে সাবান নিয়ে যান। অনেক স্থানে চোরেরা বেসিন, হাতল ও ট্যাব চুরি করে নিয়ে যায়।

এএম