রংপুর বিভাগে করোনায় মৃত্যু কমে এসেছে। তবে কমছে না করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত নতুন ১০০ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ সময় করোনায় আক্রান্ত আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে সুস্থ হয়েছেন ৩১০ জন। শনাক্তের হার ১১ দশমিক ১৭৮ শতাংশ।

এ নিয়ে বিভাগের আট জেলায় সেপ্টেম্বরের প্রথম সাত দিনে ৫ হাজার ২৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ৭৩০ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। একই সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮১১ জন রোগী।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোতাহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের গাইবান্ধা ও ঠাকুরগাঁও জেলায় একজন করে মারা গেছেন।

এ সময় ৮৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০০ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চগড়ের ৪৫, ঠাকুরগাঁওয়ের ১৫, রংপুরের ১০, দিনাজপুরের ১০, কুড়িগ্রামের ৮, গাইবান্ধার ৬, নীলফামারীর ৩ ও লালমনিরহাট জেলার তিনজন রয়েছেন।

সবশেষ দুজনসহ রংপুর বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ২১১ জনে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুরে। এ জেলায় সর্বোচ্চ ৩২০ জন মারা গেছেন।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বিভাগীয় জেলা রংপুরে। জেলা হিসেবে সবচেয়ে কম ৬৩ জন মারা গেছেন গাইবান্ধায়। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে ২৪৫, নীলফামারীতে ৮৭, পঞ্চগড়ে ৭৯, কুড়িগ্রামে ৬৬ ও লালমনিরহাটে ৬৪ জন মারা গেছেন।

গত বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভাগে মোট ২ লাখ ৬২ হাজার ৩৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৩ হাজার ৮৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ৪৯ হাজার ৩১৩ জন।

এদিকে রংপুর বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, বিভাগের ৮ জেলায় করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের টিকা হিসেবে সিনোফার্মের ৪ লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ ডোজ দেওয়া হচ্ছে। যারা প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন, শুধু তাদেরই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে কেন্দ্রে তিনটি বুথের মাধ্যমে নারী-পুরুষদের টিকা দেওয়ার কাজ চলছে। আগামী ৫ দিন এই টিকা কার্যক্রম চলবে।

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোতাহারুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এনএ