লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দিনমজুর মো. ইউসুফ ও তার স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পৌরসভার কাউন্সিলরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (রায়পুর) বিচারক তারেক আজিজ এ আদেশ দেন। 

আসামিরা হলেন- রায়পুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বাহার, দেনায়েতপুর এলাকার আরিফ হোসেন, রাজিব হোসেন, মো. মানিক ও আবদুল লতিফ।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন মৃধা বলেন, প্রাথমিকভাবে আদালত অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। এতে আদালতের বিচারক ওই ৫ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামী ৩০ নভেম্বর তাদেরকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। এছাড়া মামলার ৬ নম্বর আসামি মো. দুলালকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। 

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইউসুফের সঙ্গে অভিযুক্তদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অভিযুক্ত আরিফ, রাজিব, মানিক ও লতিফ তাকে (ইউসুফ) মারধর করে। এ সময় ইউসুফকে বাঁচাতে গেলে তার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমকেও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। পথে মামলার দ্বিতীয় আসামি কাউন্সিলর বাহার তাদের গতিরোধ করেন। গালমন্দ করার অভিযোগ এনে বাহার তাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারেন। এতে ইউসুফের ডান চোখ জখম হয়। এ ঘটনায় ইউসুফ বাদী হয়ে আদালতে ছয়জনের নামে মামলা করেন।

ভুক্তভোগী দিনমজুর মো. ইউসুফ বলেন, কাউন্সিলর বাহার অন্য আসামিদের আস্থাভাজন। এজন্য হাসপাতাল যাওয়ার পথে দ্বিতীয়বার কাউন্সিলর আমাকে মারধর করেন।

এ ব্যাপারে কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বাহার বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। সালিসে তাদের ঘটনাটি মীমাংসা করে দিয়েছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

হাসান মাহমুদ শাকিল/আরএআর