করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বন্ধ থাকা স্কুল-কলেজ খুলছে ১৯ মাস পর। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধোয়ামোছার কাজ চলছে দেশজুড়ে।

তবে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে নীলফামারীর জলঢাকার আলহাজ মোবারক হোসেন অর্নিবাণ বিদ্যাতীর্থ উচ্চ বিদ্যালয়। শ্রেণিকক্ষ ও মাঠ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও পথচারীদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে দেয়ালজুড়ে করা হয়েছে অঙ্কন।

‘স্কুলে আসতে মাস্ক পরতে হবে’, ‘মাস্কছাড়া ক্লাসে যাওয়া যাবে না’- দেয়ালে এমন লেখাসংবলিত কার্টুন এঁকে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এছাড়াও শ্রেণিকক্ষের আসন বিন্যাসের জন্য এক বেঞ্চ পর পর ক্রস চিহ্ন দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়টির এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন নাগরিক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রোকুনুজ্জামান চৌধুরী রোকন ঢাকা পোস্টকে জানান, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে আমরা শ্রেণিকক্ষ, মাঠ পরিষ্কার পরিছিন্ন করে দেয়ালগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বিভিন্ন চিত্রাংকন করা হয়েছে।

প্রতিটি শ্রেণিকক্ষের সামনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা আছে। বেঞ্চ মার্কিং করা আছে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এক সিট পর পর শিক্ষার্থীরা বসতে পারে। একটি আইসলোশন সেন্টার তৈরি করা হয়। যাতে হঠাৎ অসুস্থ হওয়া শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া যায় বলে জানান তিনি।

নীলফামারী সদর উপজেলার টুপামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম মানিক বলেন, বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আমরা পাঠদানের জন্য প্রস্তুত।

জলঢাকা উপজেলার খুটামারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশিক রহমান ঢাকা পোস্টকে জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা স্কুলের শ্রেণিকক্ষ, মাঠ, শৌচাগার পরিষ্কার-পরিচ্ছিন্ন করেছি। ১২ তারিখ থেকে নিয়ম অনুযায়ী পাঠদান শুরু হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন জানান, বিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। স্কুলগুলোতে পড়ার পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সব প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছি। সরকারি নির্দেশনা অনুসারে বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু করার পরিকল্পনা নিচ্ছি। এরই মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা কর্মকর্তা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে।

মাহমুদ আল হাসান রাফিন/এমএসআর