শরীয়তপুরে কয়েকদিন ধরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে পদ্মা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে করে জেলার নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে ডুবে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ২৫ গ্রামের ৫ শতাধিক পরিবার।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, ১৩ আগস্ট থেকে পদ্মা নদীর নড়িয়ার সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর পর প্রতিদিনই পদ্মায় পানি বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সুরেশ্বর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে গতকাল বুধবার থেকে আজ ১৭ সেন্টিমিটার পানি কমেছে।

জানা যায়, জাজিরার পূর্বনাওডোবা, পালেরচর, বিলাশপুর, জাজিরা, কুন্ডেরচর, নড়িয়া উপজেলার নড়িয়া পৌরসভা, মোক্তারেরচর, নওপাড়া, কেদারপুর, ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা, তারাবনিয়া ও চরসেন্সেস ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত গ্রামগুলো পানিতে তলিয়ে গিয়েছে। কোথাও কোথাও মানুষ আর গবাদিপশু মাচা করে একসঙ্গে থাকছে। চলাচলের জন্য ব্যবহার করছেন নৌকা। ঘর থেকে বের হতেও নৌকার প্রয়োজন হচ্ছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। গো খাবারেও রয়েছে সংকট।

নওপাড়া ইউনিয়ন হাজীকান্দি এলাকার কৃষক হাসন বাচু বলেন, কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পায়। এতে করে বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘরের মধ্যেই মাচা পেতে অনেক কষ্টে আছি। দিন কাটছে আতঙ্ক নিয়ে। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে অনেক কষ্টে আছি।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব ঢাকা পোস্টকে বলেন, কয়েকদিন ধরে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে গতকালের তুলনায় আজ ১৭ সেন্টিমিটার পানি কমেছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএসআর