ইউপি সদস্য ইসমাইল আলী

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিলেট-তামাবিল সড়কে চলাচলকারী ইজিবাইক ধরতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। বুধবারও (০৮ সেপ্টেম্বর) অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বেশ কয়েকটি ইজিবাইক জব্দ করে জৈন্তাপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রাত ৮টার দিকে একটি ইজিবাইক ছাড়িয়ে নিতে থানায় যান জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইসমাইল আলী।

এ সময় থানায় কর্তব্যরত দুজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন ইসমাইল আলী। একপর্যায়ে এক পুলিশ সদস্যের কলার চেপে ধরেন। পরে পুলিশের কলার চেপে ধরার অপরাধে ইসমাইল আলীকে আটক করে পুলিশ।

তবে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। তার ভাই সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী পুলিশের সঙ্গে সমঝোতা করে ভাইকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই আওয়ামী লীগ নেতা নিজে থানায় গিয়ে ভাইকে ছাড়িয়ে আনেন।

যদিও জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ পুরো ঘটনাকে ভুল বোঝাবুঝি বলছেন। তিনি বলেন, ইসমাইল আলীর বড় ভাই লিয়াকত আলী ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানরা থানায় এসে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এরপর আটক ব্যক্তিকে তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

এদিকে জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইসমাইল আলী পুলিশের কলার চেপে ধরার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ইজিবাইক আটকের বিষয়টি নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ আমাকে সরে যেতে বলায় আমি সরে যেতে অস্বীকার করেছি। তখন ওই পুলিশ সদস্যকে আমি বলেছি, আমি এই এলাকার মেম্বার, আমি কোথায় যাব? তখন আমি ওই পুলিশ সদস্যকে বলেছি- সরবেন তো আপনারা। এমন কথা কাটাকাটির জেরে আমাকে আটক করা হয়েছে। পরে আমার ভাই ও চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ঘটনা নিষ্পত্তি হয়েছে। কথা কাটাকাটি যার সঙ্গে হয়েছিল তাকে সরি বলেছি। 

এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তুহিন আহমেদ/আরএআর