আমার কবলেশ্বরী খুব লক্ষ্মী। আগের বার এক সাথে দুডো (দুটি) বাছুর দিছিল। এবার একসঙ্গে তিনটে (তিনটি) বাছুর দেছে। এসব তারই খেলা। কবলেশ্বরী যনো (যেন) এরম (এই রকম) করেই আমাগের বছর বছর বেশি বেশি বাছুর আর দুধ দিয়ে যায়। এভাবেই একগাল হাসি হেসে কথাগুলো বলছিলেন সুলেখা পাল।

ঘটনাটি মাগুরার শালিখা উপজেলার দড়ি শোলই গ্রামের। এই গ্রামের দরিদ্র কৃষক কার্তিক পাল কয়েক বছর ধরে একটি গাভি পালন করছিলেন। গেল বছর তার আদরের কমলেশ্বরী একসঙ্গে দুটি বাচ্চা দিয়েছিল। সেই গাভিই এবার একসঙ্গে তিনটি বাচ্চা প্রসব করেছে। সুখভরা হাসিতে দরিদ্র কার্তিক পাল বললেন, এ যেন ভাঙা ঘরে চাঁদের আলো।

কার্তিক পাল বলেন, বুধবার রাতে হঠাৎ করে আমার গাভির প্রসবব্যথা শুরু হয়। আমি তাড়াতাড়ি সাইফুদ্দৌলা ডাক্তারকে ফোন করি। উনি এসে একে একে তিনটি বাছুর প্রসব করেন।

শালিখা উপজেলার কৃত্রিম প্রজনন কর্মী মো. সাইফুদ্দৌলা সনেট বলেন, খবর পাওয়ার পর আমি সঙ্গে সঙ্গে কার্তিক পালের বাড়িতে যাই। কোনো অস্ত্রোপচার ছাড়াই তিনটি বাছুর প্রসব করাই। বাছুরগুলো সুস্থ ও সবল হয়েছে।

শালিখা উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আনিছুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোনো বকনা হিটে আসার পর প্রাকৃতিক উপায়ে বা কৃত্রিমভাবে বীজ দেওয়ার পর ওভারি থেকে যদি একাধিক ওভাম (বীজ) আসে তাহলে একাধিক বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে আমার ৩০ বছরের চাকরি জীবনে পাঁচ বছর আগে যশোরে এবং বুধবার রাতে শালিখার দড়ি শোলই গ্রামে একসঙ্গে তিনটি বাছুর প্রসবের ঘটনা দেখলাম।

এসপি