গত ৭ সেপ্টেম্বর গণটিকাদান কর্মসূচি চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি কেন্দ্রে এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে টিকার ভায়াল থেকে সিরিঞ্জে ডোজ ঢুকানোর অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে ওই দিন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টে ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাউন্সিলরের কাণ্ড’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাকিল মিয়া।

প্রতিবাদ লিপিতে কাউন্সিলর শাকিল মিয়া বলেন, আমি করোনাভাইরাসের টিকার ভায়াল থেকে সিরিঞ্জে ভরে মানুষকে দিচ্ছি- এ তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রকৃত ঘটনা হলো- আমার নির্বাচনী এলাকায় বিএডিসিতেও একটি টিকাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। ওই দিন (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে কয়েকজন অভিযোগ করেন, টিকার ভায়াল থেকে সম্পূর্ণ টিকা দেওয়া হচ্ছে না। আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে অভিযোগের বিষয় জানতে টিকা কেন্দ্রে যাই।

তিনি দাবি করেন, টিকা কেন্দ্রে গিয়ে টিকার ভায়াল হাতে নিয়ে সিরিঞ্জ ঢুকিয়ে দেখছিলাম, যতটুকু ভায়েলে আছে তা সিরিঞ্জে ঢোকানো যায় কি না। এ সময় কেউ একজন ছবি তুলে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। এ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি এর প্রতিবাদ জানাই।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

৭ সেপ্টেম্বর গণটিকাদান কর্মসূচি চলাকালে কাউন্সিলর শাকিল মিয়া নিজে কেন্দ্রে বসে ভায়াল থেকে টিকার ডোজ সিরিঞ্জে ঢুকিয়ে দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। প্রকাশিত সংবাদে কাউন্সিলর শাকিল সিরিঞ্জে টিকার ডোজ ঢুকাচ্ছেন- এমন ছবিও দেওয়া হয়েছে। ওই সংবাদে প্রতিবেদকের মনগড়া বা মিথ্যা কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। সংবাদে কাউন্সিলর ও সিভিল সার্জনের বক্তব্য রয়েছে। সিভিল সার্জন তার বক্তব্যে বলেছেন, ভায়াল থেকে টিকার ডোজ সিরিঞ্জে ঢোকানোর কাজটি টেকনিক্যাল। প্রশিক্ষিত টিকাদানকর্মী ছাড়া এ কাজ অন্য কেউ করতে পারবে না।

আজিজুল সঞ্চয়/এসপি