লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে নিয়মবহির্ভূতভাবে ২০ টন সার দোকানে মজুত করায় ক্ষুদ্র পরিবেশক (ডিলার) বিটুল চন্দ্র সাহাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল মোমিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা করেন। এ সময় বিটুলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়।

উপজেলা কৃষি অফিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে সারবোঝাই একটি ট্রাক বিটুলের দোকানের সামনে আসে। পরে ট্রাক থেকে ৪০০ বস্তা (২০ টন) সারের মধ্যে ১৩০ বস্তা সার দোকানে রাখা হয়। ক্ষুদ্র পরিবেশকের দোকানে একসঙ্গে ২০ টন সার মজুত করা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহ হয়।

পরে স্থানীয়রা ইউএনও আবদুল মোমিনকে বিষয়টি অবহিত করেন। ইউএনওর নির্দেশনায় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সত্যতা পায়। এ সময় পরিবেশক বিটুল সারগুলোর কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। পরে ওই পরিবেশককে উপজেলা পরিষদে ডাকা হয়। একই সঙ্গে ট্রাক থেকে বাকি সারগুলো না নামানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

জানা গেছে, বিটুল উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের ক্ষুদ্র সার পরিবেশক। ওই ইউনিয়নের প্রধান পরিবেশক ছিলেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাসিন্দা আহাদুর রহমান। ৭ মাস আগে আহাদুর রহমান মারা যান। প্রধান পরিবেশক হলেও তার কোনো গুদাম ছিল না চরগাজী ইউনিয়নে। এতে ক্ষুদ্র পরিবেশক বিটুলকে প্রতিনিধি করে সারগুলো তার দোকানে মজুত করা হতো।

পরিবেশক বিটুল চন্দ্র সাহা বলেন, আমি আহাদুর রহমানের প্রতিনিধি। আমার দোকানে সার ছিল না। এখন সারের মৌসুম। এজন্য আহাদুর রহমানের ভাই ইয়াসিন রহমান মাসুদ চাঁদপুর থেকে সার নিয়ে আমার জন্য পাঠিয়েছেন। 

উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. হযরত আলী বলেন, আমি যাওয়ার আগেই ট্রাক থেকে ১৩০ বস্তা নামানো হয়েছে। বাকি ২৭০ বস্তা সার না নামাতে নিষেধ করা হয়েছে।

রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল মোমিন বলেন, নিয়মবহির্ভূতভাবে সার আনায় পরিবেশক বিটুলকে জরিমানা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাকে শোকজ করা হয়েছে।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এমএসআর